ধর্ষণ করা হয়েছে নাবালিকাকে। কেবল তা-ই নয়। নির্যাতিতার পরিবারকে গৃহবন্দি করেও রাখা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থানার জামবনিতে এমন মারাত্মক অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতা বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ কমিটির নেতা রামকৃষ্ণ শিট। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, শোরগোল ওঠায় সালিশি সভা ডেকে মুখ না খোলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারকে।
তবে ভয় দেখিয়েও পার পায়নি অভিযুক্ত তৃণমুল নেতা। মানুষ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছেন। বামপন্থী আন্দোলনের কর্মীরা গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। ফলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়।
গত সপ্তাহের ঘটনা বেরিয়ে পড়েছে সম্প্রতি। নির্যাতিতা অসুস্থ থাকার কারণে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ঘটনা সামনে এসেছে। গ্রামবাসীদের আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের থেকে ঘটনাটি জানতে পারে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারী তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়েছে সোমবার। তৃণমূল নেতার কুকর্মে গ্রামজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলা-পুরুষ, ছাত্র যুবরা।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, সাত বছরের মেয়েকে রেখে ঘটনার দিন চাষের কাজে মাঠে গিয়ে ছিলেন বাবা-মা। একা পেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ শিট। কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এলে মেয়েটি কান্নাকাটি করে বাবা মাকে সব জানায়। এর আগেও ওই নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু মেয়েটি বাবা-মা’র কাছে জানালেও গুরুত্ব দেয়নি পরিবার। শাসক দলের নেতা যদি বিপদে ফেলে, সেই ভয় ছিল। গত সপ্তাহে ধর্ষণের পরও আতঙ্কের মধ্যে ছিল নির্যাতিতার পরিবার। ফলে কিছুদিন নীরব ছিল। কিন্তু তাতেও নিস্তার মেলেনি। সালিশি সভা ডেকে সবরকম সরকারি প্রাপ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
আক্রান্ত ছোট্ট মেয়েটি ভাল নেই। প্রথমে তাকে জামবনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Comments :0