দিল্লিতে জাতীয় স্তরের ছাত্র সমাবেশে যোগ দেওয়ায় গবেষক ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছে ‘টিস’। দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে এই ছাত্র রামদাস প্রিনি শিবনন্দনের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে ঢোকায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করল এসএফআই-সহ ১৬টি ছাত্র সংগঠনের মঞ্চ ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অব ইন্ডিয়া।
এসএফআই’র সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘মেকি জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের এই প্রয়াসকে কেবল বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার বিরোধী স্বর দমন করার জন্য।’’
ছাত্র সংগঠনগুলির সংযুক্ত মঞ্চের দাবি, পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত এখনই বাতিল করতে হবে। রামদাস এবং তাঁর সঙ্গী প্রগতিশীল ছাত্রছাত্রীদের লড়াইয়ে সংহতি জানানো হচ্ছে। টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশাল সায়েন্সেস কর্তৃপক্ষকে মঞ্চ বলেছে, ছাত্রসমাজের মুখ বন্ধ করার এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হবে না। দেশের সব গণতান্ত্রিক অংশকে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
জানুয়ারিতে দিল্লির যন্তর-মন্তরে সংসদ অভিযানে শামিল হয় দেশের সব প্রান্তের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। ‘টিস’ ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছিলেন প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের নেতা রামদাস। দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে এই দলিত ছাত্রকে। পরিবারে তিনিই প্রথম উচ্চশিক্ষার আঙিনায় আসতে পেরেছেন। ক্যাম্পাসে ‘রাম কি নাম’ তথ্যচিত্র দেখানো হয়। আয়োজক ছিলেন তিনি। উগ্র হিন্দুত্ববাদ বিরোধী এই তথ্যচিত্র বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছে। কর্তৃপক্ষ চিঠিতে শাস্তির কারণ হিসেবে তথ্যচিত্রের প্রদর্শনের উল্লেখও করেছে।
বিবৃতিতে সই করেছেন এআইএসএ, এআইএসএফ, এনএসইউআই, টিএসইউ’র মতো ১৬টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Comments :0