উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে এ বছরই। কিন্তু টেস্ট পেপার কেনার সামর্থ্য নেই পরিবারের। সন্দেশখালিতে এমন ৮৫ ছাত্রছাত্রীকে দেওয়া হলো টেস্ট পেপার। সেই সঙ্গে স্কুলে পড়াশোনার একাধিক সমস্যা এসেছে আলোচনায়।
পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের এই উদ্যোগে শামিল হলেন স্থানীয় বহু নাগরিকই। মঞ্চের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির উদ্যোগে রবিবার সকালে সন্দেশখালি ১ ব্লক কমিটির সহযোগিতায় হয়েছে এই কাজ।
পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিরাপদ সর্দার, জেলা সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ মাহাতো, জেলা সভাপতি তপন সর্দার, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকার, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা রনজিত নাথ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপদ সর্দার বক্তব্যও রেখেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থা দেশ ও রাজ্যের ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে। আদিবাসী,তপশিলি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস সন্দেশখালিতে। রাজ্যের ৮০০০ স্কুল বন্ধ। শিক্ষক নেই। স্কুলছুটের সংখ্যা অসংখ্য এই সন্দেশখালির বুকে।’’
সর্দার বলেন, ‘‘স্কুলগুলিতে পঠন পাঠানোর পরিবেশ নেই। প্রতি বছর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমছে। কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির ৯টি দ্বীপাঞ্চল। আইনের শাসন এখানে মৃত। গণতন্ত্র নেই। এই প্রেক্ষাপটে টেস্ট পেপার হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়াস অভিনন্দনযোগ্য।
Comments :0