ডব্লিউটিও বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন’র সুপারিশ মেনে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ডব্লিউটিও’র মতো সংস্থার নির্দেশিত পথে কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকি কমানোর পথে হাঁটছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি’র আইনি গ্যারেন্টি দিচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় সরকারকে ডব্লিউটিও থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সোমবার দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়ে সারা ভারত কৃষকসভা সহ সংযুক্ত কিষান মোর্চা এই দাবি জানিয়েছে। এদিনই আবুধাবিতে শুরু হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও’র অধিবেশন।
কৃষি এবং খাদ্যে ভরতুকি আরও কমানোর জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলিকে চাপ দিচ্ছে ধনী দেশগুলি। ডব্লিউটিও’র মঞ্চে কৃষি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে ‘উদার আমদানি’ নীতি নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। যার অর্থ, কৃষি বহুজাতিক এবং কৃষি কর্পোরেটের হাতে দেশে দেশে খাদ্য ও কৃষির বাজার পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া।
এদিন সারাভারত কৃষকসভা বা এআইকেএস’র নেতৃত্বে রাজস্থানের ভাদরা, হরিয়ানার রোহতক, হিমাচল প্রদেশের শিমলা, পাঞ্জাব, কেরালা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ হয়। ট্র্যাক্টর মিছিল করে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন কৃষকরা।
এআইকেএস’র পাশাপাশি রাকেশ টিকায়েতের ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নও এদিন ট্র্যাক্টর মিছিল করেছে। কৃষকরা নয়ডা থেকে দিল্লি যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করলে রাস্তা আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। নয়ডাতেও ডব্লিউটিও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের বক্তব্য, ডব্লিউটিও, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ’র মত আন্তর্জাতিক সংস্থা নয়া উদারবাদী খোলা বাজার অর্থনীতির কথা বলে। এঁদের সুপারিশ হল, কৃষিক্ষেত্রে সরকারকে ভর্তুকি কমাতে হবে। একইসঙ্গে কৃষিপণ্যের বাজারে বৃহৎ কর্পোরেট কৃষি সংস্থাগুলিকে প্রবেশেরও সুযোগ করে দিতে হবে। এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে সর্বস্বান্ত হবেন ক্ষুদ্র কৃষকরা।
Comments :0