পাশপোর্টের আবেদনে জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ভাস্কর সামন্ত। হুগলির খানাকূল থানার ঘসুয়া সামন্তপাড়ায় তার বাড়ি। মঙ্গলবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ধৃত কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। জাল জন্ম শংসাপত্র এবং আধার ও অন্যান্য সরকারি নথিপত্র তৈরি চক্রের মূল পাণ্ডা ভাস্কর বলে পুলিশের অনুমান। তার বাড়ি থেকে একটি ল্যাপটপ, আইফোন, একটি দামি মোবাইল ও একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। জাল নথিপত্র তৈরিতে মোবাইল, ল্যাপটপ ও বায়োমেট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করা হত বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিশ। ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। জালিয়াতির বিষয়ে বিশদে জানতে এবং এই চক্রে আর কারা কারা জড়িত তার হদিশ পেতে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের তিনদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে পাশপোর্ট পেতে আবেদন করেন বর্ধমান শহরের নতুনপল্লির রিঙ্কা দাস। আবেদনের সঙ্গে তিনি একটি জন্ম শংসাপত্র জমা দেন। সেটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদনটি ভেরিফিকেশনের জন্য জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে পাঠানো হয়। সমস্ত অরিজিন্যাল নথিপত্র নিয়ে রিঙ্কাকে গোয়েন্দা দপ্তর অফিসে ডেকে পাঠায়। জন্ম শংসাপত্রটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া কিনা তা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেটি জাল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়। এরপরই গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে বিষয়টি জানিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র পেশ করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। গত ১৯ ডিসেম্বর রিঙ্কাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর খেলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা স্বরূপ রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে পেশ করে তাকে পাঁচদিন হেফাজতে নেয় পুলিশ। স্বরূপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানা এলাকার বাসিন্দা গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্ত জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে মোবাইল ও একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত হয়। ধৃত দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনায় ভাস্করের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে পুলিশ।
Fake Passport Racket
পাসপোর্ট কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক
×
Comments :0