NIRAB KHAN

গরিব পাড়ায় পৌঁছায় না জল, নেই পাকা রাস্তা

জেলা

প্রচারে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী নীরব খাঁ।

শঙ্কর ঘোষাল
 

মাড়ো গ্রামে পানীয় জল গরিব পাড়ায় পৌঁছায়নি। গরিবের পাড়ায় পৌঁছায়নি পাকা রাস্তাও। বদলাতে হবে এই হাল, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থীকে বলছেন বাসিন্দারাই। বুধবার মানকরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালিয়েছেন তিনি। 
বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে নীরব খাঁ-ও প্রচার চালাচ্ছেন পাড়ায় পাড়ায়। তিনি এই এলাকারই বাসিন্দা। বিজেপি বা তৃণমূলের প্রার্থীরা তা নন। এই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সরাসরিই বলছেন, যে চাকরির জন্য টাকা দিতে হয়নি তাঁকে তখন বামফ্রন্ট সরকার ছিল। চাকরি যখন পেয়েছিলেন, রাজনৈতিক পরিচিতিও ছিল না। আর আজ এই বাংলাতেই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষের অভিযোগ উঠছে। বামপন্থীরা শক্তিশালী না হলে এই অন্যায় রোখা যাবে না।


বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে নীরব খাঁ এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে সুকৃতী ঘোষাল, সমর্থনে চলছে নিবিড় প্রচার। দেশরক্ষার জন্য বামপন্থীদের শক্তিশালী করার আহ্বান নিয়ে পৌঁছাচ্ছে সিপিআই(এম)’র প্রচার। 
সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ পথসভা জনসভায় বলছেন, ২০০৪ সালের ভোটে সাম্প্রদায়িক বিজেপি’কে ঠেকাতে কেন্দ্রে কংগ্রেস জোট সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল বামপন্থীরা। স্বাধীনতার পর সেবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বামপন্থী সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন লোকসভায়। আর বামপন্থীরা আদায় করে এনেছিলেন একশো দিনের কাজের আইন, তথ্যের অধিকার আইন, বনাঞ্চলে জমির পাট্টার আইন। 
বামপন্থীরা প্রচারে বলছেন, আজ দেশে এমন সরকার যা দেশের সংবিধানকে অমান্য করছে। গণতন্ত্রের ওপর প্রতিদিন আঘাত। কর্পোরেট-হিন্দুত্ব জোট সরকার চালাচ্ছে। মজুরি বাড়ছে না, ওষুধের দাম বাড়ে। বাড়ে খাদ্যের দাম। আর এ রাজ্যের চরম দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার চালাচ্ছে। নিজেদের বাঁচাতে বাংলাকে বেচে দিচ্ছে। গণতন্ত্রের অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার ধ্বংস করেছে। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তৃণমূল এবং বিজেপি-কে হারাতে হবে, জয়ী করতে হবে বামপন্থীদের।

Comments :0

Login to leave a comment