CIA MEMORIAL BOARD

কিয়েভ হানায় মৃত্যু হয়েছে সিআইএ আধিকারিকের, জোর জল্পনা রাশিয়ায়

আন্তর্জাতিক

CIA USA RUSSIA UKRAINE WAR BENGALI NEWS সিআইএ দপ্তরে এই সেই বোর্ড।

সিআইএ দপ্তরের বোর্ডে বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত কর্মীর সংখ্যা। রুশ সামরিক ব্লগারদের দাবি, কিয়েভে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তরে হওয়া মিসাইল হানায় প্রাণ হারিয়েছেন সিআইএ’র আধিকারিকরা। 

ভার্জিনিয়ায় সদর দপ্তর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ’র। সিআইএ’র দপ্তরের মেমোরিয়াল ওয়ালে একটি বোর্ড রয়েছে। সংস্থার যতজন কর্মী ‘মিশনে’ গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, ততগুলি তারা আঁটা রয়েছে সেই বোর্ডে। মে মাসের গোড়ায় সেই বোর্ডে তারার সংখ্যা ছিল ১৩৯টি। ১ জুন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪০। রুশ সামরিক ব্লগারদের দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত, কিয়েভে মিসাইল হানাতেই প্রাণ হারিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় কোনও সিআইএ আধিকারিক। 

প্রসঙ্গত, রবিবার কিয়েভে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ বা জিইউআর’র সদর দপ্তরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। রুশ মিসাইল মাটি ফুড়ে আঘাত হানে মাটির নীচে থাকা বাঙ্কারে। মঙ্গলবার এই হামলার কথা স্বীকার করেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। 

সেই সময় থেকেই রাশিয়ার তরফে জোরের সঙ্গে বলা হচ্ছিল, মিসাইল হানার সময় জিইউআর দপ্তরে একাধিক শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমী গোয়েন্দা আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করে চলেছেন। রুশ সামরিক ব্লগারদের দাবি, মিসাইল হামলায় বহু ইউক্রেনীয় সেনার পাশাপাশি একাধিক শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিকও প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। বাকিরা গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

প্রাথমিক ভাবে ইউক্রেনের তরফে গোটা ঘটনা অস্বীকার করা হয়। যদিও পরবর্তীকালে জিইউআর’র তরফে এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেই মতো মঙ্গলবার মস্কো শহরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন। যদিও রাশিয়ার দাবি ৮টি ড্রোনকেই ধ্বংস করা হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট, জিউইআর দপ্তরে হওয়া হামলায় গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইউক্রেন। তার প্রতিশোধ নিতেই মস্কোয় হামলার ছক কষা হয়। 

দাবি এবং অভিযোগ উঠলেও এতদিন কোনও প্রমাণ মেলেনি যে কিয়েভ হামলায় পশ্চিমী কোনও গোয়েন্দা আধিকারিক প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু ১ জুন সিআইএ দপ্তরের বোর্ডে তারার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উচ্ছ্বাসে মাতছেন রুশ সমর্থকরা। 

যদিও সিআইএ কিংবা মার্কিন প্রশাসন কিংবা ইউক্রেন সরকার- কোনও তরফেই এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য মেলেনি। 

Comments :0

Login to leave a comment