Murder

দিনের আলোয় রায়গঞ্জ শহরের মধ্যবর্তি এলাকা উকিলপাড়ায় জোড়া খুন

জেলা

দিনের আলোতে বেলা ১১ টা নাগাত রক্তাক্ত অবস্থায় একজোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য । ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ পৌর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার সৎসঙ্গ স্কুলের পেছনে। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম তপন দে ( ৫৪)।  অপর এক মৃত ব্যক্তির নাম জানাতে পারেনি পুলিশ। মৃত তপন দে পুর্ত দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। খবর চাউর হতেই ব্যপক শোরগোল এলাকায়।  ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 
তবে স্থানীয়দের মতে সরকারি কর্মচারীর ঘরে আরেক ব্যক্তি ঢুকলো কি করে? কি করছিলো বন্ধুরা? স্থানীয়সূত্রে আরও জানা গেল,  নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা মৃত তপন দে-র স্ত্রী সুলেখা দে পারিবারিক গণ্ডগোলে প্রায় দু আড়াই বছর নদীয়া জেলার রানাঘাটে বাবার বাড়িতে চলে গেছে। তাদের একমাত্র  মেয়ে তানিয়া দে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। বাবার সাথে থাকছে তানিয়া দে। বাবা তপন দে মেয়েকে খেতে দিয়েছে। পরীক্ষা দিতে চলে যাওয়ার সময় বাড়িতে দুই বন্ধুকে টাকা পয়সা নিয়ে কথা বলতেও শুনেছে। পরীক্ষা শেষে মাসির বাড়িতে পৌছেই তারপর মর্মান্তিক ঘটনা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পরে মেয়ে তানিয়া দে।  মা সুলেখা দে দুবছর আগে তাদের ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় সে কথাও জানিয়ে দিলো তানিয়া দে।
শনিবারে তপন দের বন্ধু রতন তার বাড়িতে কেন আসেন তা কিন্তু প্রতিবেশীরা বলতে পারছে না। তপন দে- সাথে অন্য আরেকজন ছিলেন তার নাম জানাতে পারেনি পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে রতনকে অন্যমনস্ক অবস্থায় বাড়ির থেকে বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘড়ি তপনবাবুর বাড়িতে ঢুকে দেখেন তপনবাবু ও আরেকজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রক্তাক্ত মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ময়না তদন্তের পাঠানো হয়। কিছুক্ষনের পরে ছুটে আসেন রায়গঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপা। এই ঘটনায় রতন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনার সময় মৃত তপন দে র মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তানিয়া পরীক্ষা দিতে গেছিল। সে জানায়, আর্থিক লেনদেনের কারনে তার বাবাকে আগেও একব্যক্তি খুনের হুমকি কিছুদিন আগেও দিয়েছিল। কিন্তু এইভাবে তার বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বিশ্বাস করতেই পারছে না মেয়ে তানিয়া।

Comments :0

Login to leave a comment