ঢাকার উত্তরা এবং বাড্ডায় পুলিশ এবং সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই সংঘর্ষের খবর দিচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। আরও জানানো হয়েছে যে এই দুই জায়গায় কয়েকশো আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
জানানো হয়েছে যে উত্তরায় নিহত দু‘জনই আন্দোলনকারী। বাড্ডায় নিহত হয়েছেন এক পথচারী।
বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণা করেছেন। এদিন সকালে মেরুল বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ হয়।
এদিন দুপুরে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান ছাত্ররা চাইলে আলোচনায় রাজি সরকার। তিনি জানান, দুই মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন সরকারি কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে একমত সরকার।
বাংলাদেশের ঘটনাক্রম উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশ। ভারতের ছাত্রদের পক্ষে এসএফআই প্রতিবাদী ছাত্রদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের কড়া নিন্দা করেছে। সেই সঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের ভাই ও বোনদের অনুরোধ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আদর্শকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরুন।’’
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে এসএফআই আহ্বান জানিয়েছে সাম্রাজ্যবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের।
Comments :0