উত্তর প্রদেশের হাথরসে নির্যাতিতা নিহত দলিত কন্যার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত এবং সুভাষিণী আলি। নিহত কিশোরীর ভাই এবং পরিবার জানিয়েছেন তাঁদের যন্ত্রণার কথা। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দুই নেত্রী।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। তাঁর মৃত্যু হয় দিল্লির হাসপাতালে। শেষকৃত্য করে দেয় উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের পুলিশ। পরিবারকে দূরে রেখে গভীর রাতে শেষকৃত্য করে দেওয়া হয়। হাথরসে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পদক্ষেপে সারা দেশে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। গোড়া থেকেই অপরাধীদের আড়াল করতে সচেষ্ট ছিল বিজেপি সরকার।
বুধবার নিহত কন্যার পরিবার জানিয়েছে যে অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। জামিন হয়ে গিয়েছে তাদের। আর আক্রান্তের পরিবারই বন্দির মতো দিন কাটাচ্ছে। সিপিআই(এম) সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানাচ্ছে যে নিহত কিশোরীর বড় ভাই বলেছেন, "আমরা বন্দি। কিন্তু অপরাধীরা মুক্ত!”
বৃন্দা কারাত এবং সুভাষিণী আলি মনে করিয়েছেন যে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার অপরাধীদের পাশেই রয়েছে। তাঁরা বলেছেন, ‘‘উত্তর প্রদেশ সরকার সেই মর্মান্তিক রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাচ্ছে না। যে রায়ে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে খালাস করা হয়েছে এবং চতুর্থ জনকে শুধুমাত্র দোষী সাব্যস্ত করা করেছে। ধর্ষকদের কঠিন সাজা দেওয়ার বিরুদ্ধে উল্টে তাদেরই আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে বিজেপি সরকার।’’
বিপন্ন পরিবারকেই সমানে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। নির্যাতিতার দুই ভাইয়ের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছিল, পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি এবং একটি বাড়ি দিতে হবে। কিন্তু সেই আদেশ কার্যকর করতে অস্বীকার করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। পরিবারটি গভীর আর্থিক সংকটে রয়েছে।
বৃন্দা কারাত এবং সুভাষিণী আলি তাঁদের লড়াইয়ের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
কেবল হাথরসই নয় নারী নির্যাতনের একের পর এক ঘটনায় অপরাধীদের পাশে রয়েছে বিজেপি। গুজরাটে ২০০২ সালের গণহত্যার পর্বে ধর্ষিতা বিলকিস বানোর অপরাধীদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ছাড়িয়ে এনেছিল গুজরাটের বিজেপি সরকার। পূর্ণ মদত ছিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। বিলকিস বানোর লড়াইয়েরও পাশে থেকেছে সিপিআই(এম)। সুপ্রিম কোর্ট ফের অপরাধীদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
Comments :0