ভ্রমণ — মুক্তধারা, বর্ষ ৩
আমতা আমতা করে হামতা...
অভীক চ্যাটার্জী
উচ্চতায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪১০০ ফ্ট উপরে এই বরফ ঢাকা শৃঙ্গ ঘেরা এই হ্রদ হলো চন্দ্রা নদীর উৎস। এক অদ্ভুত নির্লিপ্তির অনুভূতি দিতে পারে এই হ্রদ। নীল আকাশের প্রতিফলনে জল হয়ে ওঠো আরও ঘন নীল। হালকা মেঘ ও নীল আকাশ দিয়ে মিলে অদ্ভুত সুন্দর সে হ্রদকে ঘিরে বহু লোককথা প্রচলিত। রাতে কেউ থাকেনা এখানে। রাতে নাকি পরীরা নেমে আসে আকাশ থেকে। রাতে কেউ থাকলে সে আর ফিরে আসে না।
লোককথা একদিকে, কিন্তু স্বপ্নের মতো সে হ্রদ আজও আমার স্বপ্নে এসে। আমি দেখতে পায় সে হ্রদের পারে দাঁড়িয়ে আছি আমি। আজলা ভরে তুলে নিচ্ছি জল। চারপাশের ধূসর পাহাড় আমায় আরও কাছে টেনে নিচ্ছে। লিন হয়ে যাচ্ছে আমার বুকে।
চমক ভাঙলো বৃষ্টির ফোঁটায়। বৃষ্টি নেমে গেছে চন্দ্রতালে। আমরা তাড়াতাড়ি গাড়ির কাছে ফিরে এলাম। এবার ফেরার পালা। পথে দাড়ালাম সেই বিখ্যাত চাচা চাচী ধাবাতে। সেই ধাবার মালিকের আতিথেয়তা বড় ভালো। তিনি প্রায় ৩০ বছর আগে এক ভয়ানক বন্যাতে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। সেই সময় থেকে ইনি খুবই সম্মানীয় ব্যক্তি এই অঞ্চলে। সব পর্যটক অন্ততঃ একবার ঘুরে যান এই ধাবা থেকে।
রাস্তার কথা যদি বলতে হয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যদিও খুব ভালো, কিন্তু ছাত্রু থেকে চন্দ্রতাল লেকের পথ খুবই খারাপ। যদিও BRO এর মেরামতিতে কোনো কসুর ছাড়ে না। তবুও ধসের কারণে রাস্তা ঠিক রাখা কঠিন।
সন্ধ্যার মুখে আমরা পৌঁছলাম আবার ক্যাম্প সাইটে। রাতের খাবার খেয়ে আমরা শুয়ে পড়লাম বেশ তাড়াতাড়ি। কাল আমরা নামবো মানালি।
চলবে
Comments :0