ডাব্লিউএমও’র রিপোর্ট অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিগত কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যারোমিটারের পারদ শিখর ছুঁয়েছে বহু দেশেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি বহু জায়গায় খরা দেখা দিচ্ছে।
ডাব্লিউএমও রিপোর্টে জানিয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, পর্তুগাল, ইউকে’র মতো দেশগুলিতে।
২২ এপ্রিল, অর্থাৎ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস বা ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’র দিনে ডাব্লিউএমও ‘ স্টেট অফ গ্লোবাল ক্লাইমেট ইন ২০২২’ প্রকাশ করে। সেখানেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।
রিপোর্টে রাষ্ট্রসংঘের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ৮ বছর মানব সভ্যতার ইতিহাসে উষ্ণতম ৮ বছর। এর মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। এর ফলে ১০ লক্ষেরও বেশি প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রামগত বেড়ে চলেছে কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো গ্যাসের নির্গমন।
ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় গলছে হিমবাহের বরফ। তারফলে জলস্তরও বৃদ্ধি পাচ্ছে রেকর্ড হারে। বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহগুলির ঘনত্ব গত দেড়-দুই বছরে গড়ে ১.৩ মিটার হ্রাস পেয়েছে। ১৯৭০ সাল থেকে হিমবাহের দৈর্ঘ হ্রাস পেয়েছে গড়ে ৩০ মিটার। ২০১৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৬২ হারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইউরোপের মানুষ নানা নতুন রোগে ভুগতে শুরু করেছেন। পশু থেকে মানুষের মধ্যে রোগ সংক্রমণের হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে জলবাহিত রোগের পরিমাণও বাড়ছে ইউরোপে।
Comments :0