গ্রেপ্তার করুন শেখ শাহজাহান কে। পুলিশকে করা ভর্ৎসনা করে বললো কলকাতা হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতিরা বলেন, এমন ধারণা তৈরি করা হয়েছে যে শাহজাহানের গ্রেপ্তারি তে স্থগিতাদেশ আছে। এই ধারণা পুরো ভুল। আদালত এমন নির্দেশ দেয়নি। শাহজাহানকে ধরা হোক।
বিচারপতি বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে চার বছর আগে। পুলিশে চার বছর সময় লাগলো ৪২টি চার্জশিট তৈরি করতে। এই চার বছরের মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হলো না!’’
আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করার।
রেশন দুর্নীতি শুধু নয়। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল, লোনা জল জল ঢুকিয়ে জমি নষ্ট করা, রাতের অন্ধকারে মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীনতাহানি করার, লিজের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ এনেছেন গ্রামবাসীরা।
তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর এই অত্যাচার চলেছে। পুলিশের জানাতে গেলে কোন অভিযোগ নেওয়া হয়নি। উল্টে বলা হয়েছে শাহজাহান শেখ, তার ভাই সিরাজ এবং দুই সঙ্গী উত্তম ও শিবুর কাছে যাওয়ার জন্য।
৫০ দিনের বেশি সময় পার এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। গ্রামবাসীদের আন্দোলনের চাপে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার দুই সঙ্গী শিবু হাজরা এবং উত্তম সরদার। গনধর্ষন সহ একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারি ইডি শাহজাহানের বাড়ি আসে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে। সেখান থেকে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। সেদিন হামলা করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আদিকারিকদের ওপর এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর। তারপর থেকে ফেরার শাহজাহান। ইডি সেই ঘটনার ১৯ দিন পর গেলেন শেখ শাহজাহানের বাড়ি। নোটিশ দিয়ে এলেন হাজিরা দেওয়ার। কে কার কথা শোনে, শাহজাহান হাজিরা দেয়নি। ২৯ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় বার তাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। দেবেন কি না কেউ জানে না।
প্রশ্ন উঠেছে যেই শাহজাহান আইনজীবী মারফত আদালতে জামিনের আবেদন করছে তাকে ধরতে পারছে না রাজ্য পুলিশ এবং ইডি।
High Court
শাহজাহানকে ধরুন, পুলিশকে ধমক হাই কোর্টের
×
Comments :0