SALIM LEFT ELECTION

বিজেপি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবার সঙ্গে চলছে কথা, জানালেন সেলিম

রাজ্য জেলা

শনিবার ফুলবাড়িতে সমাবেশের একাংশ। ছবি: রাজু ভট্টাচার্য।

দীপশুভ্র সান্যাল

‘‘বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে যত মানুষ আছে, যত গোষ্ঠী আছে যত দল আছে সবাইকে নিয়ে তো মানুষের জোট। সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে আমাদের।’’ শনিবার দার্জিলিঙের ফুলবাড়িতে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই অবস্থান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অবস্থান স্পষ্ট করবে তাকেই আমরা সঙ্গে নিতে তৈরি।’’
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এদিন হয়েছে জনসমাবেশ। বামপন্থীদের লক্ষ্য স্পষ্ট করে সেলিম বলেছেন, দিদি আর মোদীর লুটকে বন্ধ করতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে মানুষের অধিকার। এ বাংলাকে চেনে বামপন্থীরাই, চেনে লালঝাণ্ডা। 


তিনি বলেন, ‘‘মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলার নতুন করে পুনর্নির্মাণ দরকার। বাংলাকে সিপিআি(এম) লালঝাণ্ডা বামফ্রন্ট ভালো করে চেনে। তার ইতিহাস জানী, অতীত জানে, সংস্কৃতি জানে, রাজনীতি জানে ভবিষ্যৎও জানে। এখানে সিপিআই(এম)’কে হারিয়ে দিয়ে বিজেপি তৃণমূল লুটের রাজত্ব তৈরি করেছে। সেই লুটকে বন্ধ করতে হবে।’’
শনিবারই আসাম এবং উত্তরবঙ্গ সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী। সন্দেশখালি নিয়ে ভাষণও দিয়েছেন। সেলিম প্রশ্ন তুলেছেন কেন মণিপুরে আক্রান্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে সে রাজ্যে যাননি মোদী। কেন ফের জাতিদাঙ্গা ছড়াচ্ছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ভোটের আগেই প্রতিশ্রুতি আর প্রকল্প উদ্বোধনেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ২০১৪’র পর কোন নতুন প্রকল্প পরিকল্পনা করে রূপায়ন করেছে কেন্দ্রের সরকার, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।  
সেলিম বলেন, ‘‘দিল্লিতে মোদীর লুট, রাজ্যে চলছে দিদির লুট। ভোট এলেই নানান প্রতিশ্রুতি হয়। তাতে ভবি ভুলবার নয়। বোর ছেলেমেয়েদের কাজ, আমাদের স্কুল-কলেজ শিক্ষা বাঁচানো, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তিপূর্ণ আবহাওয়া তৈরি করা যেখানে মা বোনেদের ইজ্জত থাকবে সম্মান থাকবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জমির অধিকার, কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’
সেলিম বলেছেন বামপন্থীদের লক্ষ্য প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের কাজের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে, কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে খুঁজে পেতে, সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে লালঝাণ্ডাকে শক্তিশালী করতে হবে।’’ 
সন্দেশখালি থেকে কাওয়াখালি, মাটিগাড়া থেকে ময়নাগুড়ি, সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয় এ বাংলায় ধুপগুড়িতে। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে নকল যুদ্ধ হয়। মহিলা পাচারে তৃণমূল নেত্রী এবং বিজেপি নেত্রী দু’জনেরই নাম আসে। এজন্যই বামফ্রন্টকে দরকার।

Comments :0

Login to leave a comment