RECRUITMENT SCAM

জীবনকৃষ্ণের সেই মোবাইলে দুর্নীতির গুরুতর তথ্য-নথি

রাজ্য

SSC SCAM TMC MLA BENGALI NEWS

ধৃত তৃণমূলী বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইলে থাকা নথি, গুরুত্বপূর্ণ একাধিক তথ্য ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, চমকে ওঠার মতো তথ্য রয়েছে অভিষেক ব্যানার্জির অনুগামী হিসাবেই পরিচিত মুর্শিদাবাদের বড়ঞার ধৃত তৃণমূলী বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইলে। তার ভিতিত্তেই ফের জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই। অভিষেক- জেরার আবহে জেলে গিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেরার সিবিআইয়ের আবেদন গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 


এর আগেই সিবিআই’র আলিপুর আদালতে জানানো হয়েছিল যে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের ফোন থেকে ১০০টিরও বেশি অডিও ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এধরনের অডিও ফাইল বা অডিও ক্লিপিং ফোনের কথোপকথনের রেকর্ডিং হতে পারে। তবে বিধায়কের সঙ্গে কাদের কথোপকথন সেই সংক্রান্ত কিছু আদালতে প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। 

সিবিআই’র তরফে আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিধায়ককে জেরাপর্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে বিধায়কের ফোনে যা তথ্য মিলেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালত মোবাইল থেকে মেলা ফোনের কণ্ঠস্বর মেলাতে বিধায়কের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার আবেদনও মঞ্জুর করেছিল।  


সিবিআই তল্লাশি ও জেরা চলাকালীন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবন সাহার বাড়িতে রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। মোবাইল ফোন সিবিআই হাতে পেয়ে যাওয়ার পরেও তাদের অসতর্কতার সুযোগে তা ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির বাইরে পাঁচিলের ওপারে পুকুর ও ঝোপঝাড়ের দিকে ছুঁড়ে দেন তৃণমূলী বিধায়ক। 

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, নিয়োগকাণ্ডেই ধৃত অয়ন শীল, তৃণমূলী শান্তনু ব্যানার্জির মোবাইলের মতো তাহলে কি জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইলও সোনার খনি? কোন শীর্ষ সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারি প্রভাবশালীর সঙ্গে কথোপকথন, টাকার হিসাব রয়েছে? এমনকি পাম্প লাগিয়ে পুকুরের জল তোলার কাজও চলে রাতভর। নামানো হয় জেসিবিও। প্রায় দেড় দিন ধরে পুকুরে চলে তল্লাশি। এরপর ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলী বিধায়ককে।


বৃহস্পতিবার আলিপুরে সিবিআই’র বিশেষ এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ ৮ জনকে পেশ করা হয়। এদের মধ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সরকারি চাকরি বিক্রির এজেন্ট চক্রের পান্ডা আলি ইমাম ও শাহিদ ইমাম জামিনের আবেদন করেন। গত ১৭ মে একাদশ-দ্বাদশে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এবং গ্রুপ-ডি কাণ্ডে সিবিআই শান্তিপ্রসাদ সিনহা, আলি ইমাম ও শাহিদ ইমামের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। 

এদিন আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। যদিও জীবনকৃষ্ণ, ধৃত মিডল্যান প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংহরা জামিনের আবেদন জানায়নি। সকলেরই জেলের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ল। ১ জুন পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। 

Comments :0

Login to leave a comment