‘কেউ আমাকে পদত্যাগ করতে বলেনি। আমি পদত্যাগ করিনি। লড়াই চলবে।’
হিমাচল প্রদেশে নিয়ে টালমাটালের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা সুখবিন্দর সিং সুখু।
রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বিজেপি দল ভাঙানোর খেলা শুরু করায়। বুধবার বিধানসভায় আস্থা ভোটেরও দাবি করেছে বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বহিষ্কার করেছেন বিজেপি’র ১৫ বিধায়ককে। এদিনই শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন।
কংগ্রেসের ৬ বিধায়ককে মঙ্গলবার ভাঙিয়ে নেয় বিজেপি। রাজ্যসভায় রাজ্যের একটি মাত্র আসনের ভোটে এই ৬ বিধায়ক ভোট দেন বিজেপি’কে। কংগ্রেস সমর্থিত আরও ৩ বিধায়ক বিজেপি’র পক্ষে যান। এদিন রটতে থাকে যে সুখু পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে চাইছেন। এদিন সকালেই রাজ্যের এক মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
দুপুরে সুখু জানান যে তিনি পদত্যাগ করছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘এই লড়াই আমরা লড়ব, আমরা জিতব। রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার পাঁচ বছরই চলবে।’’
এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করেন জাতীয় কংগ্রেস কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের অগ্রাধিকার এখন হিমাচলে সরকারকে রক্ষা করা। ২০২২’র নির্বাচনে জনাদেশে স্পষ্ট গরিষ্ঠতা ছিল কংগ্রেসের। হিমাচলের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাদের খারিজ করেছেন। এই জনাদেশকে সম্মান জানানো উচিত।’’
বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ৬৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ছিল ৪০ আসন। স্পষ্ট গরিষ্ঠতায় ফাটল ধরিয়েছে বিজেপি দল ভাঙানোর খেলায় নেমে। রাজ্যে রাজ্যে এই কৌশলই চালাচ্ছে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে। তিনি আবার রাজনীতিতে স্বচ্ছতার পক্ষে এবং দুর্নীতির বিপক্ষে ভাষণ দিয়ে চলেছেন। রমেশ বলেছেন, ‘‘মোদীর গ্যারান্টি একটাই, রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের নির্বাচিত সরকার ভাঙা।’’
এদিন অধ্যক্ষ ১৫ বিধায়ককে সাসপেন্ড করার পর বিজেপি’র বাকি ১০ বিধায়ক কক্ষত্যাগ করেন বিধানসভায়।
Comments :0