ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে দু মাসে হাতির হামলায় চার জনের মৃত্যু। বন কর্মীদের আটকে বিক্ষোভ, আগ্নেয়া অস্ত্র ছিনিয়া নেওয়ার চেষ্টা উত্তেজিত জনতার। বানারহাটে হাতির হামলার এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার। মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার মুখে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীরা। বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা গ্রামবাসীদের। বনকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে বানারহাট থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে পাশের ডায়না জঙ্গল থেকে একটি দলছুট হাতি বস্তিতে ঢুকে পড়ে। সেই সময় প্রাতঃকৃত্য করতে বাইরে বেরিয়েছিলেন কুল বাহাদুর থাপা নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই হাতিটির মুখোমুখি পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পিছনে ফিরে পালিয়ে যাওয়ার আগেই হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে পা দিয়ে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌয়য় এলাকার মানুষ। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘক্ষণ মৃত দেহ আটকে রাখে। প্রায় ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে বন কর্মীদের আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুচ লেখা দিয়ে ঘেরাও মুক্ত হন বন কর্মীরা।
রবিবারও হাতির হামলায় গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপর মঙ্গলবার সকালে আবারও হাতির হামলায় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় আপার কলাবাড়ি বস্তির বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বনদপ্তর তাঁর ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করে না। লোকালয়ে হাতির ঢুকে পড়া স্বাভাবিক ঘটনা তাঁদের কাছে। কিন্তু ইদানীং খুব ঘনঘন হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ছে। তাতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু হাতি জঙ্গলে ফেরাতে বনকর্মীরা সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করেন না। যদিও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বনকর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার ছয় ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, জঙ্গলের হাতির সংখ্যা বাড়লেও জঙ্গলে খাবারের ব্যাবস্থা করে নি। তাই খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে পরছে। হাতির হামলায় মাঝে মধ্যে ঘড় ভাঙে। গত দু মাসে চার জনকে হাতিতে মেরেছে ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে। আমরা দারুন আতঙ্কে আছি। ৩ টা হাতি গত দু মাস থেকে গ্রামে ঢুকছে। আমরা চাই হাতি গুলিকে অন্য জঙ্গলে নিয়ে যাক বনদপ্তরের কর্মীরা।
Comments :0