Wall Collapsed

বাঁকুড়ায় পোলট্রি ফার্মের দেওয়াল ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা

পোলট্রি ফার্মের দোতলা ভেঙে মৃত শ্রমিক কৃষ্ণ মোল্লা। ছবি- মধুসূদন চ্যাটার্জি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তালডাংরা ব্লকের সাতমৌলি অঞ্চলের ডুমুরডিহা গ্রামের পোলট্রি ফার্মের দেওয়াল ধসে গিয়ে সেখানে কর্মরত এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম কৃষ্ণ মোল্লা। বাড়ি ওন্দা থানার মেটাপাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় আরও ৫জন আশঙ্কাজনকভাবে আহত হয়েছেন। তাঁদের কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন, পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি, জেলা সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। হাজির হয় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়েছে। কারণ একটাই সম্পূর্ণ বেআইনীভাবেই এই পোলট্রি ফার্মের দোতলা ঘরটি নির্মান করা হচ্ছিল। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজ করায়। তারাই পাথর, বালি, ইট সরবরাহ করত। শ্রমিকরা বারে বারে এর বিপদজনক অবস্থা জানানো সত্বেও কোন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। 


ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। 

ঘটনা হল ডুমুরডিহা গ্রামের এই নির্মিয়মান পোলট্রি ফার্মের মালিক বাইরের। মেদিনীপুর হ্যাচারি নাম দিয়েই এটির কাজ শুরু হয়েছে। পাশেই গোডাউনের দোতলা ঘর হচ্ছিল। কালো ইটে পাঁচ ইঞ্চি গাঁথনিতে এই কাজ চলছিল। এখানকার স্থানীয় মানুষজন জানান, তৃণমূলের নেতাদের মদতেই এই কাজ চলছিল। নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে দোতলার ঘর নির্মান করা হচ্ছিল। তাঁদের অভিযোগ পঞ্চায়েত থেকেও কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে খবর। এদিন এখানকার শ্রমিক রাজা লায়েক, সোমনাথ পাত্ররা জানান, দুপুরে আমরা শ্রমিকরা যখন এই ঘরের নিচে বসে খাবার খাচ্ছিলেন তখনই উপরের প্রাচীর নিচে পড়ে। তার নিচেই প্রায় ৯ জন শ্রমিক চাপা পড়েন। বাকি শ্রমিকরা তাঁদের উদ্ধার করেন। সোমেন পাত্র জানান, তৃণমূলের ঠিকাদার নেতারা শ্রমিকদের কাছ থেকে ৬ হাজার করে টাকা নিয়ে কাজে ঢোকায়। মালিক তাদের কথাতেই চলে। এর ফলে এদিন দেওয়াল চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এদিন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন ও পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি জানান, এই বাড়ি তৈরীর জন্য সংশ্লিষ্ট সাতমৌলি গ্রামপঞ্চায়েত থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা আমরা তার তদন্ত করতে বলেছি। যদি বেআইনী কিছু থাকে তাহলে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর বিকালেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা আছে। 

Comments :0

Login to leave a comment