RICHA GHOSH

ঘরে ফিরলেন সোনা জয়ী রিচা ঘোষ, উৎসবের আবহ শিলিগুড়িতে

খেলা

RICHA GHOSH

অনিন্দিতা দত্ত – শিলিগুড়ি 


অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর এশিয়ান গেমসে সোনা সত্যিই খুব ভালো অনুভূতি। সোনা সোনাই হয়। কোনটারই অনুভূতি কম বা বেশী নয়। ভালো খেলতেই হবে। এটাই লক্ষ্য ছিল। সেইমত মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পরবর্তী লক্ষ্য হবে বিশ্বকাপ। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়িতে নিজের বাড়িতে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য রিচা ঘোষ। 


এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত শিলিগুড়ির সোনার মেয়ে রিচা কলকাতা থেকে এদিন শিলিগুড়িতে বাড়িতে পৌঁছেছেন। এদিন কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমান বন্দরে এসে পৌঁছালে সম্বর্ধনায় ভেসে যান তিনি। বিভিন্ন ক্রিকেট প্রেমী অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছিলেন সোনার মেয়েকে একবার দেখার জন্য। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শহরে প্রবেশের পথে একাধিক জায়গায় রিচাকে সম্বর্ধনা জানানো হয়েছে। বেলা প্রায় ১২ টা নাগাদ সুভাষপল্লী হাতিমোড়স্থিত বাড়িতে সোনার মেয়ে রিচা এসে পৌঁছালে ১৯নং ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। বাড়িতে ঢোকার আগে সম্বর্ধনা জানানো হয় বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকেও। সুভাষপল্লীতে নিজের বাড়িতে পৌঁছাতেই প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের অভিনন্দন আর ভালোবাসায় ভেসে যান রিচা। সবাই যেন নতুন করে রিচাকে দেখতে চায়। পুরোপুরি উৎসবের আবহ। সাত সকালেই রিচার বাড়িতে এসে উপস্থিত সকলে। হাজির ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী হাজরা, ১৯নং ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সুকুমার ঘোষ, সৌরাশীষ রায় সহ ওয়ার্ড কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। এলাকার বহু বয়ষ্ক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত হয়ে তার সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিন রিচার ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে শহরবাসীর মধ্যে উন্মাদনা ছিলো। এবারের জন্মদিন শিলিগুড়ির বাড়িতেই কাটাবেন তিনি।


এদিন রিচা বলেন, অনেকদিন পর শিলিগুড়িতে বাড়িতে ফিরেছি। খুব ভালো লাগছে। এবারের সোনা জয় অন্য এক অনুভূতি। শেষবার অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপে জয় আনন্দের ছিলো। এবার এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পর আরো ভালো লাগছে। হার্ডওয়ার্ক করেছি তারই ফল পেয়েছি এশিয়ান গেমসে। এবার লক্ষ্য হবে বিশ্বকাপ। নিবিড় অনুশীলন করতে হবে। আরো ভালো খেলার চেষ্টা করবো। এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের পরে ড্রেসিং রুমে সবাই খুব উচ্ছ্বসিত ছিলো। কারণ যেমনটা প্ল্যান ছিলো ঠিক সেইমতো সফলতা এসেছে। সাংবাদিকদকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, জীবনে সবাই এক না এক সময় বাদ পড়বে বা টিমে চেঞ্জ হতে থাকে। বিষয়টি কে কিভাবে নেবে তার ওপর নির্ভর করে। নিজের ফিটনেস, ব্যাটিং কিভাবে নিজের খেলাকে আরো উন্নত করা যায় সেবিষয়গুলির ওপরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছি। অন্যকিছু কখনই ভাবনাতে আসেনি। ফাইনাল ম্যাচে ১১৭ রান প্রসঙ্গে বলেছেন, রান কম বলা যাবে না। কারণ পিচ যেরকম ছিলো সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। এদিন রিচার সম্মানার্থে শহরের প্রাক্তনদের নিয়ে রিচা একাদশ ও মেয়র একাদশ নামে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রীতি ম্যাচে জয়ী হয়েছে রিচা একাদশ।


 

Comments :0

Login to leave a comment