বুধবার জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিতে অভিযান চালায় ইজরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রার্থনারত প্যালেস্তিনীয়দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁরা। তাঁদের লক্ষ করে স্টান গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়। পালটা পাথর এবং আতসবাজি ছুঁড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন প্যালেস্তিনীয়রা। এই ঘটনায় ৪০০’র উপর প্যালেস্তিনীয়কে আটক করে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বুধবার সন্ধ্যা থেকেই এই ঘটনার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করে প্রায় প্রত্যেকটি প্যালেস্তিনীয় সংগঠন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দক্ষিণ লেবানন থেকে কোনও প্যালেস্তিনীয় প্রতিরোধ সংগঠনই বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। এই ধারণা জোরালো হয়েছে সংবাদ সংস্থা আল-আরাবিয়া’র প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, লেবাননের প্রভাবশালী হেজবোল্লাহ্ গোষ্ঠী এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
ইজরায়েলী সেনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ লেবানন থেকে ৩০টি রকেট ছোঁড়া হয় উত্তর ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গা লক্ষ করে। তারমধ্যে অন্তত ৫টি রকেট ইজরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ ভেদ করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ মহিলা সহ ২জন রকেট হামলায় আহত হয়েছেন। ইজরায়েলের তরফে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান পেশ করা হয়নি।
এর পালটা দক্ষিণ লেবাননে গোলা বর্ষণ শুরু করে ইজরায়েলী সেনা। কামানের গোলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার রাত অবধি লেবানানের সেনা এবং সেদেশে মোতায়েন রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর তরফে রকেট হামলা এবং গোলা বর্ষণ নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ইজরায়েল-লেবানান যুদ্ধের পরে লেবানান থেকে একদিনে এত বিপুল সংখ্যক রকেট ছোঁড়া হয়নি ইজরায়েল লক্ষ করে। ২০০৬ সালের যুদ্ধে হেজবোল্লাহ্ ইজরায়েলী বাহিনীকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেই যুদ্ধে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়।
Comments :0