পার্থপ্রতিম কোঙার
এবার দিনেদুপুরে গুলি চলল শক্তিগড়ে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শক্তিগড়ের জোতরামে একটি সোনা-রুপোর দোকানে দুই দুষ্কৃতী এসে তাদের একজন দোকানের মালিককে সামনে থেকে গুলি চালিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দিল। গুরুতর জখম অবস্থায় দোকানের মালিক সন্দীপ দাসকে প্রথমে বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে গোদা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ গিয়ে তদন্তে নেমেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড়ের জোতরাম এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে সন্দীপ দাসের সোনা-রুপোর দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি দোকানে আসেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাইকে চেপে এসে দু’জন সেখানে আসে। তাদের পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও সাদা জামা। চোখে কালো চশমা পরেছিল তারা। এরপর তাদের একজন ক্রেতা সেজে দোকানে যায়। অপরজন রাস্তায় বাইকের কাছে দাঁড়িয়েছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকানের ভিতরে থাকা যুবক লুটপাট চালাতে থাকে। তাতে বাধা দেন সন্দীপবাবু। এরপর কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতী। সন্দীপবাবুর পেটে গুলি লাগে। সেই অবস্থাতেও দুষ্কৃতীকে ধরে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর পাশাপাশি ব্যবসাদাররা গুলির আওয়াজ শুনে সেখানে পৌঁছালে দুষ্কৃতীরা তাঁদের দিকে পিস্তল তাক করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ের আমড়া এলাকায় ল্যাংচার দোকানের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। এরপর ফের এদিনের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Comments :0