এক্স হ্যান্ডেলে ইয়েচুরি লেখেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলির সাথে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন যেই নৈতিক আচরণ বিধি তৈরি করেছে তা প্রতিদিন লঙ্ঘন করছেন প্রধানমন্ত্রী। কমিশনের এই নীরবতাই মনোভাব বুঝিয়ে দিচ্ছে। কমিশন রাজার চেয়েও বেশি রাজভক্ত।’’
২১ এপ্রিল বানসওয়াড়ায় মোদী বলেন, কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশ্তেহারে উল্লেখ করেছে যে তারা সবার সম্পত্তি খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনে কবজায় নেবে। তিনি আরও বলেন, এই কাজে মহিলাদের মঙ্গলসূত্রও ছাড় পাবে না।
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশ্তেহারে কোনও ব্যক্তিগর সম্পত্তি হস্তগত করার কথা উল্লেখ নেই।
ওই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে পূর্বে কংগ্রেস সরকার বলে এসেছে এই দেশের সম্পদের ওপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একটি বক্তৃতার বলেন, ভারতের পিছিয়ে পড়া সব সম্প্রদায়ের মানুষে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতি প্রয়োজন।
সংখ্যালঘুদের নিশানা করে মোদী বলেন, যেই সম্পত্তি কংগ্রেস কবজা করে অনুপ্রবেশকারী এবং যাদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার হার বেশি তাদের মধ্যে ভাগ করে দেবে। সরাসরি মুসলিম বিদ্বেষ এভাবেই শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
২২ এপ্রিল আলিগড়ের সভায় রাহুল গান্ধীকে ‘শেহজাদা’ বলে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের শেহজাদা বলেছেন তারা ক্ষমতায় থেকে সবার আয়, সম্পত্তির খতিয়ান তারা যাচাই করে বাজেয়াপ্ত করবে।
কংগ্রেসের ইশ্তেহারে এমন কোনও লক্ষ্য জানানো না হলেও মোদী এই প্রচার কিভাবে করে যাচ্ছেন, প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন অংশই। অসত্যের ভরসায় মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর নির্দিষ্ট অভিযোগ জানিয়েছে মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। দু’বার চিঠি পাঠানো হয়েছে কমিশনে। অথচ এই কমিশনই ‘আপ’-র মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
Comments :0