শাসক দলের হাতছাড়া হলো ঝালদা পৌরসভা। হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য তলবিসভা ডাকা হয়েছিল। কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর এবং দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে অপসারিত হলেন বর্তমান পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। যদিও শাসক দলের ৫কাউন্সিলর এদিনের তলবিসভায় যোগ দেননি। রাজনৈতিক মহলের খবর, দলের নির্দেশেই শাসক দলের ওই পাঁচ কাউন্সিলর আসেননি তলবিসভায়। ফলে, ৭-০ ফলাফলে ঝালদা পৌরসভার তৃণমূল পৌরপ্রধান অপসারিত হলেন।
উল্লেখ্য, গত পৌরনির্বাচনে ঝালদা পৌরসভার ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল পাঁচটি করে আসনে জয় হয়েছিল। দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। বোর্ড গঠনের আগেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হয়েছিলেন। পৌরবোর্ড গঠনের দিন তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের সঙ্গে ছিলেন নির্দল হিসাবে জেতা দুই কাউন্সিলর। তাঁরাও সেদিন তৃণমূলের প্রার্থী সুরেশ আগরওয়ালকে সমর্থন করেছিলেন।
ইতিমধ্যে, তপন কান্দুর শূন্য আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। গত ১৩অক্টোবর কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর এবং নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। এরপর তলবিসভা ডাকা নিয়ে চলে নানা টানাপোড়েন। হাইকোর্টে একাধিক মামলা করেন শাসক দলের পৌরপ্রধান এবং উপপৌরপ্রধান। পালটা মামলা করেছিলেন তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করা নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়।
এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার তলবি সভা হয়। সেখানে অপসারিত হলেন তৃণমূলের পৌরপ্রধান। কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু জানিয়েছেন, এটা আরও আগে হওয়ার ছিল। কারণ, ঝালদার মানুষ চেয়েছিলেন কংগ্রেস সেখানে বোর্ড গঠন করুক। কিন্তু তাঁর স্বামী তপন কান্দুর মৃত্যু সবকিছু উলটপালট করে দেয়। তিনি বলেন, ঝালদার মানুষ চাইছেন, এবার উন্নয়নের জন্য তাদের বোর্ড।
Comments :0