এসটিএফের জালে সেখ নাসিম। উগ্রপন্থী সন্দেহে হুগলি দাদপুরে মামার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের যুবক সেখ নাসিমকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গেল এসটিএফ।হুগলির দাদপুর থানা এলাকার আমরা হাজার পাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে ছিলো সেখ নাসিম। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে গত রবিবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ দাদপুরে আসেন নাসিম। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ সবাই যখন ঘুমিয়ে আমরা গ্রামে ঢোকে পুলিশের গাড়ি। দরজায় কড়া নারে এসটিএফ। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা জানান, দরজা খুলতেই তার হাত ধরে এসটিএফ বলে নাসিম কোথায়। দোতলার ঘরে তখন ঘুমিয়ে ছিলেন নাসিম। মামা তার ঘরে নিয়ে যায় এসটিএফকে। সেখানেই গ্রেপ্তার করে নাসিমকে। এর পর বাড়িতেই কিছুক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ চলে। পরে দাদপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেপ্তারি মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায় তাকে।
মামা গোলাম মোস্তাফা বলেন, ভাগ্না হাফিজ মৌলানা পাশ করে ক্বারী পড়ছিল পাঁশকুড়ায়। মাঝে মধ্যে আসত আমরায়। দিদিমার শরীর খারাপ শুনে এসেছিল। পুলিশ আধিকারীক যারা এসেছিলেন তারা বললেন,ভাগ্না জেহাদি কাজে যুক্ত। ওরা মইনুদ্দিন নামে কাউকে চেনে কিনা জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্না বলেছিল সে এমন কোনো কাজে যুক্ত না। আমরাও অবাক।
আমরা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তাফার প্রতিবেশীরাও ঘটনায় হতবাক। নাসিমকে পাড়ার অনেকেই ভাগ্না বলে ডাকেন। মনিরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, নাসিম পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। আজ পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেলো। শুনলাম উগ্রপন্থী কাজে নাকি যুক্ত। ভাবতে পারছি না।
ঘটনা প্রসঙ্গে নাসিমের মামা জানান, তার ভাগ্নার সঙ্গে কোন উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর যোগাযোগ নেই। ভুলবশত পুলিশ তার ভাগ্নাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রামবাসী প্রশান্ত ঘোষ বলেন, কার মনে কি আছে বোঝা দায়। শুনলাম পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে। কে বলছে উগ্রপন্থী সংগঠনে যুক্ত ছিল আবার কেউ বলছে কোনো অপরাধ করেছে। আমরা ঠিক জানিনা। তবে সত্যি যদি কোন উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে তার কর্মফল পাবে।
Comments :0