হাওড়া-যশবন্তপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিলেন বেঙ্গালুরু ফেরত কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ৩ যুবক। এঁদের একজনের নাম জিসান আলম। তার বাড়ি দিনহাটা ১নং ব্লকের মহেশ্বর গ্রামে। এখনও পর্যন্ত তার কোন খোঁজ মিলছে না। আরেকজনের নাম শিবা রায়। তার বাড়ি দিনহাটা নিগমনগর এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে। দিনহাটা নিগমনগরের আরেক বাসিন্দা নব্যেন্দু গোস্বামী পড়েন এই দুর্ঘটনার কবলে। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওড়িশার কটক মেডিকেল কলেজে।
বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দিনহাটার জিসান আলম। বাড়িতে রয়েছে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। জিশানের মা জামিলা বিবি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলের সাথে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। ছেলে বলেছিল, সব ঠিকঠাক থাকলে শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছবে। এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন তার মা-বাবা স্ত্রী সহ পরিবারের সকলে। কিন্তু এদিন সকালেই তাদের কানে আসে যে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে জিসান। আর তারপর থেকেই অনবরত জিসানের মোবাইলে ফোন করার পরেও, কোনভাবেই ফোন ধরছে না জিসান বা অন্য কেউ। আর তাতেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কপালে জমাট বাঁধছে জিসানের বাবা-মা স্ত্রী দিদি সহ পরিবারের সকলের। তবে প্রশাসনিক উদ্যোগে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পরিবারের প্রতিনিধিরা।
নিখোঁজ দিনহাটার বাসিন্দা শিবা রায়। সপ্তাহ তিনেক আগে তিনি বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে তিনি ট্রেনে চেপেছিলেন শুক্রবার। ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি। বাড়ির লোক ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। শিবা রায়ের ফোনের সুইচ অফ থাকায় চিন্তায় তার পরিবার। তার মা, জানিয়েছেন বাড়িতে পুজো রয়েছে, এই কারণে শিবা বাড়ি ফিরছিলেন। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ ফোনে কথাও হয় তার সাথে। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই। এই অবস্থায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। রাত ৮টা নাগাদ খবর পান বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিবা।
দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম নব্যেন্দু গোস্বামী। বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। এই দুর্ঘটনায় জখম দিনহাটার নব্যেন্দুও। বর্তমানে তিনি জখম অবস্থায় ওড়িশার কটক মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
Comments :0