চাপে পড়ে এখন বিডিও অফিস বলছে পকা বাড়ি থাকলে নাম বাদ যাবে আবাসের তালিকা থেকে। কিন্তু গরিবের কী হবে বলছে না। খেতমজুরদের গ্মা কে গ্রাম নাম নেই আর্থ সামাজিক জাতভিত্তিক সমীক্ষায়। তাঁদের নাম তালিকায় তুলতে হবে। লালঝান্ডা সেই আন্দোলন জারি রাখবে।
হুগলীর পাণ্ডুয়ায় জনসভায় এই লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র। এদিন সংগঠনের হুগলী জেলা দ্বিতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হয়েছে সমাবেশ। মাঠ ছাপিয়ে আশেপাশে দেওয়ালে উঠে পড়া জনতাকে নামাতে হয়েছে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করে।
জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন গণআন্দোলনের নেতা এবং সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের হুগলী জেলা সম্পাদক রামকৃষ্ণ রায়চৌধুরী।
সমাবেশের চেহারা দেখে সেলিম বলেছেন, ‘‘রাজ্যের সর্বত্র পদযাত্রা, জনসভা হচ্ছে। গ্রাম জাগছে। এই মাঠও সে কথা জানান দিচ্ছে। বামপন্থীদের পক্ষে সমবেত হচ্ছেন মানুষ। বামপন্থীদের দুর্বল করতে প্রচারে নেমেছে একদল দালাল। তারা বলছে তৃণমূলকে হারাতে হলে বিজেপি’কে সমর্থন করতে হবে।’’
টেলিভিশনের চ্যানেলে বিজেপি’কে বিরোধী বানানোর প্রয়াস চিনিয়েছেন সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘কে শুভেন্দু অধিকারী, আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। দুর্নীতিতে জড়িত। রাজ্য পরিবহণ তুলে দিয়েছে। তাকে গ্যাস বেলুন দিয়ে ফোলানো হচ্ছে।’’
অমিয় পাত্রও সেই প্রচার সম্পর্কে সচেতন করেন সমবেত জনতাকে। সেই সঙ্গে আন্দোলনের লক্ষ্যও নির্দিষ্ট করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এখন আবাস যোজনা স্বচ্ছ তালিকার দাবিতে বিডিও অফিস ঘেরাও করছে বামপন্থীরা। বিডিও অফিস থেকে বলা হচ্ছে পাকা বাড়ি থাকলে, ফোনে ল্যান্ডলাইন থাকলে, ৫০ হাজার টাকার বেশি কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে। কিন্তু বলছছে না সব গরিবকে আবাসের তালিকায় নিয়ে আসা হবে।’’
বাস্তবতা ব্যাখ্যা করে পাত্র বলেছেন, ‘‘আর্থ সামাজিক ও জাতভিত্তিক সমীক্ষার নিরিখে তালিকা তৈরি হয়েছে। খেতমজুরদের গ্রাম কে গ্রাম কারও নাম নেই তালিকায়। কারণ সমীক্ষাই হয়নি এমন এলাকায়। এই মানুষের কী হবে। এঁরা বাড়ি পাবেন না? ২০২৪’র মধ্যে ২ কোটি ৯৫ লক্ষ মানুষের বাড়ি নিশ্চিত করতে হবে, সব গরিবের আবাসের টাকা নিশ্চিত করতে হবে। এ লড়াই আমাদের লড়তে হবে।’’
ভুল প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীরা বাড়ছে দেখে তৃণমূল বিজেপি’র কাছে যাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে বিজেপি’কে বলছে বুথ অফিস খুলতে। লক্ষ্য হলো বিরোধী ভোট ভাগ। তাদেরই টাকা খেয়ে একদল দালাল প্রচার করছে তৃণমূলকে হারাতে হলে বিজেপি’কে দরকার।’’
মিথ্যা প্রচার প্রসঙ্গেই সেলিমের সংযোজন, ‘‘বলা হয়েছিল সিপিআই(এম) নেতারা ভাল মানুষ। কিন্তু তৃণমূলের মতো কাঁটা সরাতে পারবে না। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে। তাই বিজেপি’কে আনো। দেখা গেল একটা বদলে রাজ্যে দুই কাঁটা। দুই দলই মানুষের অধিকার, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগঠন করার অধিকারের বিপক্ষে।’’
এদিন মঞ্চে ছিলেন গণআন্দোলনের প্রবীণ নেত্রী মিতালী কুমারও।
Comments :0