সামরিক খাতে চীন খরচ বাড়ালেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। অথচ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চারভাগের একভাগ খরচও সামরিক খাতে চীন করে না।
পশ্চিমী প্রচারের মোকাবিলায় রবিবার অঙ্ক দিয়ে প্রতিতুলনা পেশ করেছে চীন। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে পেশ হয়েছে বাজেটের খসড়া। সে দেশের জাতীয় আইনসভার এই অধিবেশনে পাশ হবে বাজেট।
চীন সামরিক খাতে আগামী অর্থবর্ষের জন্য বরাদ্দ ৭.২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সংবাদমাধ্যম ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চীন কেন বিপদ সারা বিশ্বের, তা নিয়ে প্রতিবেদনে সামরিক খাতে বরাদ্দের উল্লেখ করা হয়েছে।
অধিবেশনের মুখপাত্র ওয়াঙ চাও-কে উদ্ধৃত করে সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া বলেছে, ‘‘পরপর আট বছর চীনে সামরিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে পৌঁছায়নি। গত বছর বৃদ্ধির হার ছিল ৭.১ শতাংশ। আমরা জানি ফের পশ্চিমী মাধ্যম চীন নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে নামবে। এই প্রচারে চেপে যাওয়া হচ্ছে আসল তথ্য।’’
চীনের বক্তব্য, মোটের বিচারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীনের সামরিক খরচ চার ভাগের এক ভাগ। মাথাপিছু হিসেব ধরলে আমেরিকার ১৬ ভাগের ১ ভাগ চীনের খরচ।
চীন বলেছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে প্রথমটির সামরিক খরচে ফারাক এতটাই। এ কথা বলা হচ্ছে না। চীন সামরিক ক্ষেত্রে রক্ষণাত্মক নীতি নিয়ে চলছে। সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের অর্থ এই নয় যে চীন আধিপত্যবাদী এবং সম্প্রসারণ চালাচ্ছে।
শিনহুয়ার প্রতিবেদনে মনে করানো হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৮০০ সামরিক ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে মোতায়েন রয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার মার্কিন সেনা।
চাও বলেছেন, ‘‘কেবল চীনের হিসেব নয়। আমেরিকা সামরিক খরচে সর্বোচ্চ সারা বিশ্বে। এতটাই খরচ বেশি যে মোট অঙ্ক পরের ১৫টি দেশের মোট সামরিক খরচের সমান।
চীনের ২২৭.৭৯ বিলিয়ন ডলার। যেখানে এক বিলিয়ন মানে ১০০ কোটি। চীনের মুদ্রা ইউয়ানের বিচারে এই অঙ্ক ১.৫ ট্রিলিয়ন (লক্ষ কোটি)।
Comments :0