জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইয়ের সংহতিতে অনশন চলছে হুগলীর জাঙ্গীপাড়ায়। মালদহে, রবিবারই, প্রতীকী অনশনের পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা।
জাঙ্গীপাড়া থানার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে "আমরা জাঙ্গীপাড়া বাসী" তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবীতে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ১০দফা দাবিতে কলকাতার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচীর সমর্থনে ও তিলোত্তমার বাবা মার অনশন কর্মসূচীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়েছিল প্রতিকী অনশন কর্মসূচী। অনশন চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনশনকারীদের সহমর্মিতা জানাতে রয়েছেন সমাজের নানা পেশার নানা মতের মানুষজন।
ঠিক বেলা ১২টায় চিকিৎসক পল্লব দে-র নেতৃত্বে ১১জন মহিলা ও ৮ জন পুরুষ সহ মোট ১৯জন অনশন শুরু করেন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’র চিকিৎসক নির্মাল্য দাস, সত্যজিৎ দাস, সৌমিত্র সেন উপস্থিত বক্তব্য রাখেন।
ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সনৎ দলুই, প্রভাস দাস, পার্থ প্রতীম জানা, আত্রেয়ী জানা, আনন্দরূপা মুখার্জিও।
এলাকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ছিলেন গোপাল ঘোষ, শৈলেন্দ্র নাথ কর্মকার, বীজন ব্যানার্জী, চন্ডীদাস চন্দ্র, সুপর্ণা চন্দ্র, সন্তু সিংহরায়, বিরাজ সিংহরায়, দেবব্রত সাধুখাঁ, পূর্ণীমা ভড়, মৃণ্ময় দাস, অর্পিতা দাস, হরপ্রসাদ সিংহরায়, নমিতা ভূমিজ।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও লেখক অশোক চক্রবর্তী, সলিল ঘোষাল, কালিদাস ভট্টাচার্য। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মী রাজা আহমেদ, প্রিয়াঙ্কা ঘোষ জানা, শিখা ভট্টাচার্য। সমাজ সেবী ফারুক আহমেদ লস্কর, স্বপন বটব্যাল, সুদীপ্ত সরকার। যোগ দেন প্রাক্তন ফুটবলার তপন বসু, শিউলী রায়।
মালদহের প্রতিবাদীরা জানাচ্ছেন, ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর রাজমহল রোডে তিলোত্তমা হেল্থ ক্যাম্প এবং গান, কবিতা, কথার মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত ১২ ঘন্টার ' প্রতীকী অনশন ' কর্মসূচি পালন চলছিল। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো ছিল। কিন্তু এদিন সকালে প্রতীকী অনশন শুরু হওয়ার মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমে ফোনে এবং পরে সশরীরে পুলিশ আধিকারিকরা এসে বাধা দেন। প্রতিমা বিসর্জনের ভিড়ের কথা বলা হয়।
প্রতিবাদী মহিলারা সংবিধানের একাধিক ধারার উল্লেখ করে বলেছেন, মত জানানোর অধিকার নাগরিকদের রয়েছে। তাই অনশন চলেছে।
Solidarity Doctors
জাঙ্গীপাড়ায় প্রতীকী অনশন, মালদহে বাধা পুলিশের
×
Comments :0