ঘটনার ৫০ ঘন্টা পেড়িয়ে যাবার পর এলাকার মানুষের চাপে আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হলো আউশগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম দেবাই সরেন, সোম মুর্মু, মঙ্গল হেমব্রম ও মঙ্গল হেমব্রম। গলসি থানার লোয়াপুরে সোমের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি আউশগ্রাম থানার যদুগড়িয়ায়। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের শনাক্তকরণের জন্য আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে টিআই প্যারেড করানোর জন্য নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। সোমবার সকাল ১০টায় বর্ধমান সংশোধনাগারে ধৃতদের টিআই প্যারেড হবে। ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। নির্যাতিতার বয়ান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করানোর পুলিশের আবেদনটিও মঞ্জুর করেছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৮ মার্চ ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর ২৫–এর ওই আদিবাসী যুবতীর বাড়ি আউশগ্রাম থানা এলাকায়। বুধবার দুপুরে তিনি গ্রামের হুজুরবাগানে শুকনো পাতা কুড়াতে যান। সেই সময় চার যুবক মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর যুবতীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ পড়ে ছিলেন যুবতী। বেলা ৩ টে নাগাদ তিন মহিলা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। পরিবারের লোকজন তাঁকে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে যুবতী সেখানেই চিকিৎসাধীন।
Comments :0