MIGRANT JALPAIGURI CITU

সিআইটিইউ’র কথা বলতেই চোখে জল দীপকের (দেখুন ভিডিও)

জেলা

জলপাইগুড়িতে সিআইটিইউ দপ্তরে দীপক রায়।

দীপশুভ্র সান্যাল


চার বছর পর ঘরে ফেরা, অসুস্থ মায়ের কাছে ফেরা। 
সিআইটিইউ কিভাবে পাশে থেকেছে? জিজ্ঞেস করতেই কান্না চেপে রাখতে পারলেন না দীপক রায়। 
কেরালার জেলে আটকে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের চাউলহাটি এলাকার এই নির্মাণ শ্রমিক। দশ বছর আগে কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন কেরালায়। গণ্ডগোলে জড়িয়ে যেতে হয় জেলে।
দীপক তাঁরই এক সহকর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার জেরেই যেতে হয় জেলে। এই শ্রমিকই বলছেন, ‘‘চার বছর বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না।’’ 
জেলে যাওয়ার আগে যদিও ভালোই রোজগার করে বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন, মাকেও দেখভালের ব্যবস্থা করছিলেন দীপক। মার্বেল মিস্ত্রীর কাজ করতেন কেরালায়। 


জলপাইগুড়িতে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে থাকেন। আর্থিক প্রতারণার শিকারও হন তাঁরা। দীপক রায়ের মা রাজগঞ্জ ব্লকের একটি বাগানে চা  শ্রমিকের কাজ করেন। অবশেষে তিনি যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি জেলা সিআইটিইউ নেতা কৃষ্ণ সেনের সঙ্গে। সিআইটিইউ’র জেলা সম্পাদক জিয়াউল আলম, সংগঠনের সর্বভারতীয় স্তরে যুক্ত সুদীপ দত্ত সহযোগিতায় নামেন। কেরালায় সিপিআই(এম) সাংসদ এলামরাম করিমের সঙ্গে যোগাযোগ। 
কেরালায় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দও উদ্যোগ নেন। আইনজীবীরা দীপক রায়ের হয়ে আইনি লড়াই চালান। চার বছর জেলে ছিলেন, অপরাধের মাত্রাও বিচার করার আবেদন জানান আদালতে, জেল থেকে মুক্ত করেন এই শ্রমিককে। 
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মেয়াদে রাজ্যে কাজ না পেয়ে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন শ্রমজীবীরা। বারবার দাবি করেছে সিআইটিইউ, কিন্তু এলাকার প্রশাসন এঁদের নাম নথিভুক্ত করে সংযোগের ব্যবস্থা করছে না। বিপদের সময় ভরসা হয়েছে সিআইটিইউ। করোনার সময়েও দেখা গিয়েছিল একই ছবি। তার পরও বিপদের সময় যোগাযোগ করেছে সিআইটিইউ-ই।
জলপাইগুড়িতে সিআইটিইউ জেলা দপ্তরে এসেছিলেন দীপক। সঙ্গে বোন, ভগ্নীপতি। ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান। দীপক বলেছেন, ‘‘বিনা পারিশ্রমিকে আমার হয়ে মামলা লড়ে আমাকে মুক্ত করেন।  ৯ এপ্রিল মুক্তি পাই। সিআইটিউ নেতৃত্ব আমাকে যেভাবে পাশে থেকেছেন মনে রাখব।’’ 
জেলা সিআইটিইউ দপ্তরে ছিলেন সংগঠনের নেতা কৃষ্ণ সেন, অমিত দাস, সায়ন রায় সহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment