সোমবার কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সমাবেশের ডাক দেয় সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা কমিটি। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম)’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন কল্লোল মজুমদার।
এদিনের সভায় ইয়েচুরি বলেন, পশ্চিম বাংলার বামপন্থীরাই পারেন গণতান্ত্রিক অধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা করতে। আজকে দেশের মধ্যে জনতার আওয়াজকে জোরালো করা প্রয়োজন। ক্ষুধা, দারিদ্র, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব বিরোধী লড়াইকে জোরদার করা জরুরি।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এর পাশাপাশি সংবিধান ধ্বংস করা, ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতির বিরুদ্ধেও সংগ্রাম জরুরি। এই কাজ করতে পারে একমাত্র লালঝান্ডা। সিপিআই(এম) সেই লড়াইকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিনের সমাবেশে মহম্মদ সেলিম বলেন, সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী মানুষ লালঝান্ডার নেতৃত্বে এককাট্টা হয়েছেন। দালাল মিডিয়ার স্টুডিওতে বসে থাকা তথাকথিত রাজনৈতিক পন্ডিত বাদে সবাই এটা বুঝতে পারছেন। আগামী দিনে তাঁরাও পারবেন। করোনার আগে, করোনার সময়ে এবং করোনা পরবর্তীকালে মোদী সরকারের জন্য অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ১০০ দিনের কাজ বামপন্থীদের উদ্যোগে চালু হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিতে। আর তৃণমূল চাইছে প্রকল্প বন্ধ হওয়ার আগে যতটা সম্ভব লুটে খেতে। কিন্তু বামপন্থীরা একদিকে গরিব মানুষের কর্মসংস্থান প্রকল্পকে বন্ধ করা রুখবেন, অপরদিকে তৃণমূলের থেকে লুঠের টাকার পাই পয়সার হিসেব আদায় করবেন।
সেলিম বলেন, তৃণমূল চুরি জোচ্চুরি শিখেছে বিজেপির কাছে। মধ্য প্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে বিজেপি আরএসএস। সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সাক্ষী সহ শতাধিক মানুষকে খুন করা হয়েছে এই কেলেঙ্কারি ঢাকতে। করোনার সময় পিএম কেয়ার্সের নামে লুট চালিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আর এই মডেল অনুসরণ করেই এরাজ্যে সরকারি নিয়োগে নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। আর এই সমস্ত দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলছে জোরকদমে।
সভায় মহম্মদ সেলিম বলেছেন, বিজেপি বলেছিল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটা হয়েছে। তাই সোনাম ওয়াংচুককে খোলা আকাশের নিচে অনশন করতে হচ্ছে। নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ এদিন ফের মঞ্চ থেকেকরেছেন তিনি।
Comments :0