Raniganj Nursery

চারাগাছ বিক্রি করে আয়ে আগ্রহ বাড়ছে রানিগঞ্জে

জেলা

এমন বিভিন্ন নার্সারিতে চারা তৈরি করছে চলছে বিক্রি।

মলয়কান্তি মণ্ডল ◾ রানিগঞ্জ

রানিগঞ্জে ফুলের নার্সারি করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। সফল উদ্যোক্তাদের দেখাদেখি অন্যরাও বেশ আগ্রহী হয়ে নার্সারির কাজ শুরু করছেন। 
শীতকালে মরশুমি ফুল ফোটে অনেক। এই আবহাওয়ায় গোলাপ, গাঁদা, চাঁপা, পেটুনিয়া, ডালিয়া, লিলি এমনকি অর্কিডও শীতকালে ফোটে প্রচুর, থাকেও ভাল। ব্যস্ত জীবনযাত্রার ফলে এ রকম গাছ সবাই খোঁজেন যার পরিচর্যা করতে দিনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। এই মুশকিল আসান করতে পারে নার্সারিগুলি। 
এসময় প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে হরেক রঙের ফুল। শীত পড়তেই রানিগঞ্জ বাজারজুড়ে দিনদিন বাড়ছে নার্সারির সংখ্যা। আশেপাশের শহর ও গ্রাম থেকে মানুষজন গাছের সন্ধানে নিয়মিত আসেন। সব ধরনের ফল গাছ, মাটি, জৈব সার, চারা, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদির যোগান দিচ্ছে এই নার্সারিগুলিতে। বিভিন্ন মেলাতেও যোগ দেয় নার্সারিগুলি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রানিগঞ্জের  বিভিন্ন এলাকায় বেকার যুবদের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে ওঠেছে ৭ টির মতো বিভিন্ন ফল, বনজ ও ফুলের চারার নার্সারি। অল্প পুঁজিতে  নার্সারি করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়াও নার্সারি থেকে চারাগাছ কিনে বাজার ও জনবহুল মোড়ে বিক্রি করছেন প্রায় ১০ জন যুবক। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নার্সারি নির্মাণ হলেও যথাযথ পরিচর্চার অভাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তা মুখ থুবড়ে পড়ে।
সারা ভারত কৃষক সভার রানিগঞ্জ থানা কমিটির সম্পাদক পরাশর মহান্ত জানান, ব্লকের কৃষি উন্নয়ন অধিকর্তাকে আমরা বারবারই বিকল্প কৃষিতে উৎসাহী করতে নার্সারির উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও স্বল্প ঋণের সহায়তার দাবি করে আসছি। কিন্তু তা কার্যকরী হচ্ছে না। সরকারি সহায়তা পেলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই ব্যবসা করে উপকৃত হতেন। 
রানিগঞ্জের গ্রামগুলিতে কৃষকেরা আনাজ চাষের সাথে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। এতে উৎপাদিত আনাজ কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা পাচ্ছে এবং ফুলও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামের এই কৃষকরা নার্সারিগুলি থেকে ফুলগাছের চারা সংগ্রহ করছেন। নার্সারির কর্মী  জিতেন মালি বলেন, ‘‘শীতের তিন চার মাস ফুলের চারা ও বর্ষার সময় ফলের চারাগাছের চাহিদা বাড়ে।’’ এখন চারাগাছ বিক্রি করে  লাভের মুখ দেখছে নার্সারিগুলি।

Comments :0

Login to leave a comment