শাসকদলের বিধায়ক চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যু দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের। মৃতা সদস্য আবার তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতির স্ত্রী। ঘটনায় শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভে মুখর হয়েছে তারাপীঠের সেবাইত। মন্দিরেই বিক্ষুব্ধ প্রকাশ করেছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরের দ্বন্দ প্রকট হয়েছে।
অভিযোগের তীর হাঁসনের বিধায়ক অশোক চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে। রামপুরহাটে রয়েছে তার নার্সিং হোম 'আশা'। সেখানে গত সোমবার স্ত্রী রোগ জনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা তৃণমূলের সাহাপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা সুজাতা মুখোপাধ্যায় (৪৫)। অভিযোগ, খুবই সাধারণ সমস্যা ছিল মৃতার শরীরে। কিন্তু চিকিৎসক অশোক চ্যাটার্জির বেপরোয়াপনা এবং মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্রোপ্রচারের জেরে মৃত্য হয় মহিলার। আরও অভিযোগ, ওটি ঢোকানোর পনেরো মিনিটের মধ্যে অপারেশন হয়ে দাবি করে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ তাদের টাকা বুঝে নেয় তারাময় মুখোপাধ্যায়ের কাছে। এর তিন চার ঘন্টা পর রোগীর পরিজনদের অন্ধকারে রেখেই আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে রোগীর বলে জানানো হয়। তারপর থেকেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অবশেষে বুধবার সেবাইতদের পক্ষ থেকে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে তারাময় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "এই চিকিৎসা ডাক্তারের চেম্বারেই হয়। তবুও বিধায়ক নিজের নার্সিংহোমে অপারেশন করতে বলেছিল। যা খবর পেয়ে চিকিৎসার নিয়ম কানুন কিচ্ছু মানা হয় নি। বিধায়ক মদ্যপ অবস্থায় অপারেশন করেছে। এই নার্সিংহোম এ এমন ঘটনার অভিযোগ এর আগে অসংখ্য হয়েছে। তবুও বিধায়ক শিক্ষা নেয় নি। সব জায়গায় অভিযোগ জানাবো।"
সব অভিযোগ অস্বিকার করে বিধায়ক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “অপ্রত্যাশিত গর্ভবতি হয়েছিলেন রোগী। গর্ভপাতের জন্য আমার কাছে এসেছিলেন। খুবই সামান্য বিষয়। কিন্তু তা করতে গিয়ে রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। সিসিইউতে দিলে সেখানেও পর পর অ্যাটাক হয়। আমরা সব রকম চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রোগীকে বাঁচানো যায় নি। রোগী ও তার পরিজনেরা আমার অত্যন্ত কাছের, ঘরের লোক বলা যায়।”
Comments :0