Sandeshkhali

সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

রাজ্য

সন্দেশখালিতে জনরোষের পর উত্তর ২৪ পরগনার একাংশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি এই সব এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা শাহজাহান ও তার দুই সঙ্গী উত্তর হাজরা এবং শিবু সর্দারের গ্রেপ্তারির দাবিতে উত্তাল সন্দেশখালি। গ্রামের মানুষের রোষ থেকে রেহাই পায়নি শিবুর পোলট্রি এবং বাগান বাড়ি। 
লাঠি, ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামের মানুষজন। তাদের দাবি একটাই কোমড়ে দড়ি পড়িয়ে থানায় নিয়ে যেতে হবে এই তিন তৃণমূল নেতাকে। এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমরা শান্তি চাই। ২০০৫, ২০০৯ সালে আমাদের সন্দেশখালি যেমন ছিল তেমন চাই। আয়লায় আমাদের ঘর বাড়ি গিয়েছিল। ত্রান ঠিক ভাবে পেতাম, শান্তি ছিল একটা। এখন সেটা নেই, সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।’’
গ্রামবাসীদের অভিযোগ গায়ের জোড়ে তাদের জমি দখল করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতি বাহিনী। জমি লিজ নেওয়া হলেও টাকা দেওয়া হতো না। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হতো সাধারণ গ্রামবাসীদের। মহিলাদের কোন নিরাপত্তা ছিল না বলেও অভিযোগ করছেন তারা। মমতার সরকার যখন বাজেটে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছে তখন তার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে।
শিবু হাজরা এখানেও কয়েকশো বিঘা জমি দখল করে মেছোঘেরি, পোলট্রি ঘর বানিয়েছে। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সেই জমি ফিরে পেতে সন্দেশখালির মতো জেলিয়াখালিও প্রতিবাদে পথে নামে। শুরুতেই আন্দোলন দমিয়ে দিতে শিবু হাজরার অনুগামী সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা কর্ণখালি, পেত্নীঘোলার মতো জেলিয়াখালির হালদারপাড়ায় শিবু হাজরার বসতবাড়ির অদূরে তারই পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং আন্দোলনকারী মহিলাদের উপর হামলা চালিয়ে তাঁদের রক্তাক্ত করে।
সন্দেশখালির ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন কোন দ্বীপ নেই যেখানে মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। সর্বত্রই জমি লুট, শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের ছবিটা একইরকম। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে অন্যান্য দ্বীপাঞ্চলগুলিতে। আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্য আন্দোলন দমিয়ে দিতে আন্দোলনের মোড়কে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা উত্তম সর্দারের গ্রেপ্তার না করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে আন্দোলনকারী সাধারণ মানুষের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের। এফআইআর করা হয়েছে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, সুভাষ সর্দার সহ ১১১ জনের নামে।

Comments :0

Login to leave a comment