রাজ্য সরকারের আইনজীবীর চরম বিরোধিতা সত্বেও টেট চাকরি প্রার্থীদের জামিন দিল আদালত। মোট ২৯ জনকে বৃহষ্পতিবার চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দিল আদালত। যদিও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারাতেই মামলা রুজু করেছিল। কিন্তু তবুও আদালত পুলিশের কোনও বিরোধিতাই মানতে চায়িনি এবং চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয়। গতকাল দুপুরে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ রাতভর থানায় আটক করে রাখে। এদিকে কি অপরাধে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় দিন কাটিয়েছে পরিবারবর্গ।
বুধবার কলকাতার এক্সাইড মোরে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ২০১৪ সালে টেট উত্তির্ণ চাকরি প্রার্থীরা। অন্দোলনকারীর বিক্ষোভ দেখান শুরু করতেই তাদের ওপর ঝাপিয়ে পরে পুলিশ। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় পুলিশের। পরিস্থিতিত সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের আটক করে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে পুলিশ। এর সাথে শুরু হয় মেট্রো থেকে কেউ বেরোলেই ‘সন্দেহভাজন’ মনে করে তাদেরও আটক করা। যদিও কয়েকশো চাকরি প্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলেও গাড়ি নিয়ে এগোতে গেলে অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা গাড়ির চাকার নিচে শুয়ে পড়েন। ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়া চাকরি প্রার্থীদের নির্বিচারে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনতে থাকে পুলিশ। পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে অনেক চাকরি প্রার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে এক চাকরি প্রার্থীকে প্রিজনভ্যানে তোলার আগে তাঁর হাতে কামর বসান এক পুলিশকর্মী। আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীর নাম অরুনিমা পাল ও যে পুলিশ কর্মী কামর দেন তার নাম ইভা থাপা।
আন্দোলনকারীকে কামরের অভিযোগ উঠতেই তরীঘরি নিজেদের কর্মীর দোষ আড়াল করার চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের তরফে জানান হয়েছে ওই আন্দোলনকারী আগে ওই পুলিশ কর্মীকে কামরে ছিল। তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ওই পুলিশ কর্মী।
Comments :0