MAHARASHTRA HOSPITAL 24 DEATH

মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ২৪ রোগীর

জাতীয়

চব্বিশ ঘন্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে নান্দেদের হাসপাতালে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং ওষুধের অভাবকে দায়ী করেছেন মহারাষ্ট্রের এই হাসপাতালের ডিন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ১২ সদ্যোজাত। তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।

 নান্দেদের শঙ্কররাও চ্যবন হাসপাতালের ডিন জানিয়েছেন মৃত প্রাপ্তবয়স্কদের বেশির ভাগ সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশকে বদলি করা হয়েছে। এই হাসপাতাল কর্মীর অভাবে ভুগছে। 

এই হাসপাতাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় তৃতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে এমন স্তরের হাসপাতাল রয়েছে একটিই। হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, দূর দূর থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে আসতে বাধ্য হন। তাঁদের বিকল্প থাকে না। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে হাসপাতালের বরাদ্দের ওপর চাপ পড়ে যায়। 

ডিন জানিয়েছেন যে ওষুধ কেনার কথা একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে। সব সময়ে তা করে ওঠা যায় না। স্থানীয় সরবরাহকারীরাই তখন ভরসা। তাঁর এই বক্তব্যে বিভিন্ন অংশের অনুমান, ওষুধের গুনমান নিয়েও সন্দিহান এই সরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা।

ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকার। তাঁর প্রতিক্রিয়া যদিও নিয়মমাফিক। শিন্ডে বলেছেন, ‘‘একসঙ্গে এতজনের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। বিশদ মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ 

এ বছরের আগস্টেই মহারাষ্ট্রের থানের এক হাসপাতালে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ১৮ রোগীর মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ১২ জন ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব। 

মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্তরেও আলোড়ন পড়েছে এদিনের ঘটনায়। দু’মাসের মধ্যে দু’টি সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে মারা গিয়েছেন অস্বাভাবিক সংখ্যায় রোগীরা। সোমবারই নান্দেদের হাসপাতালে যান বিরোধী কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যবন। তিনি বলেছেন, ‘‘কর্মীর অভাব রয়েছে। রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধের অভাবও। ২৪ জন মারা গিয়েছেন। আরও ৭০জন সঙ্কটাপন্ন রোগী রয়েছেন। অথচ বহু যন্ত্র কাজ করে না হাসপাতালে। নার্সদের বদলি করা হয়েছে।’’

চ্যবন জানিয়েছেন যে ৫০০ জনকে ভর্তি করার পরিকাঠামো রয়েছে। অথচ ভর্তি নিতে হয়েছে ১২০০’র বেশি রোগীকে। বিজেপি, শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার) সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।  

Comments :0

Login to leave a comment