Bangla bachao jatra

মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি আর মানা হবে না, বলছে গাইঘাটা

রাজ্য বাংলা বাঁচাও যাত্রা

প্রতীম দে, তারক রাহা: গাইঘাটা


অনেক রাজনীতি হয়েছে আমাদের নিয়ে আর মানব না, বলেন মতুয়া দলপতি মোহন বারুই। গাইঘাটায় মঙ্গলবার প্রবেশ করেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। মতুয়াদের নিয়ে হয় সমাবেশ। সিপিআই(এম) নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের দলপতিরা। ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা। ডঙ্কা বাজিয়ে যাত্রাকে স্বাগত জানান মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা। গাইঘাটা থানার সামনে রাস্তার দখল নেন মানুষ।

সমাবেশে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন,
'গাইঘাটার মানুষকে অভিনন্দন তারা যেই ভাবে আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা দেশ ভাগের আঘাত নিয়ে বেঁচে আছি। লাল ঝান্ডা ছিন্নমূল মানুষকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আমার কখনো মানুষ মানুষে ভাগ করিনি। ধর্মের ভিত্তিতে আমার মানুষকে ভাগ করিনি। ধর্মকে রাজনীতির মধ্যে টেনে আনা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুর নিম্নবর্গের মানুষকে সমাজের মূলস্রোতে আনতে চেয়ে ছিলেন। আজকে বড় অংশের মানুষের পায়ের তোলার মাটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এস আই আরের সাথে নাগতিকতার প্রশ্নকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সংবিধান মানুষকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এখন মানুষের মর্যাদা কেড়ে নিতে চাইছে সরকার। মতুয়া সম্প্রদায় সবাইকে সমান চোখে দেখে।'
সেলিম বলেন, '২০০২ সালে বামফ্রন্ট ছিল কারুর বাপের ক্ষমতা হয়নি মানুষকে বলার তার বাপ ঠাকুরদা কোথায় ছিল। ২০০২ এর ভোটার তালিকার সাথে সেই সময়ের সামাজিক রাজনীতিক পরিবেশ পরিস্থিতি কেও মাথায় রাখতে হবে। 
আমাদের দেশে নাগরিকতা ছিল জন্মসূত্রে। মমতা আদবানি বললো না তোমাকে তোমার পূর্বপুরুষ কোথায় ছিল সেটা দেখাতে হবে। 
বাংলা বাঁচাতে হলে আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমরা বিচার করিনা কে কোথা থেকে এসেছে। দেশের মানুষ দেশ তৈরি করে, সেই মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।'
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকের কথায় তৃণমূল এবং বিজেপি এই রাজ্যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। বাংলা পিছিয়ে যাচ্ছে। 
সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'যে বাংলা সব জায়গায় এগিয়েছিল সেটা ব্রিটিশরা শেষ করতে চেয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদ শেষ করেছিল। জ্যোতি বসু আর বামপন্থীরা তিল তিল করে রাজ্যকে তৈরি করেছে। অন্ধকারের দিক থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিল বাংলাকে। তৃণমূলের চুরি বন্ধ করতে হবে, সাম্প্রদায়িক বিভাজন বন্ধ করতে হবে।'
চক্রবর্তী বলেন, 'হরি চাঁদ গুরু চাঁদ ঠাকুর সমাজ সংস্কার করেছেন তারা প্রনম্য। পিছিয়ে থাকা মানুষকে তারা সমাজের মূলস্রোতে আসার শিক্ষা দিয়েছেন। সমাজকে এগোতে হলে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।'
সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, 'যারা কাগজ দেখতে চাইছে তাদের আমাদের তাড়াতে হবে। যাদের কাগজ দেখতে চাইছে তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। 
ঠাকুর হরিচাঁদ গুরুচাঁদ সারা জীবন লড়াই করেছেন নিম্নবর্গের মানুষের উন্নতির জন্য। আজ এই মতুয়াদের ব্যবহার করে কেউ কেউ নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করার কাজ করছে। আমাদের সংবিধান আমাদের অধিকার দিয়েছে নিজের ইচ্ছা মতো ধর্ম মানতে। মানুষ আজ হাতে কাগজ নিয়ে ঘুরছে, এই আতঙ্ক থেকে মানুষকে বাইরে নিয়ে আসতে হবে। কোন মানুষের নাগরিকতা নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলে আমরা সবার আগে পথে নামবো।'
নেতৃত্বের কথায় সমাজ সংস্কারে হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের যে ভূমিকা, সেই বিষয়ে অবগত নে তৃণমূল এবং বিজেপি ক্ষমতার জন্য মতোয়াদের তারা ব্যবহার করেছে মতুয়াদের ব্যবহার করে তৃণমূল বিজেপি উভয় ক্ষমতা দখল করেছে তারপর তারা তাদের ভুলে গিয়েছে। শান্তনু ঠাকুরের মতুয়াকার্ড বিলি করার নিয়ম এদিন সমাবেশ থেকে কটাক্ষ করেছে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব।

Comments :0

Login to leave a comment