EGRA BLAST BENGAL

এগরায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০,
বোমার গুদাম রাজ্য

রাজ্য জেলা

EGRA BLAST BENGAL

এবার এগরা। সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল। ওডিশা সীমান্তের কাছে এই গ্রামেই ‘বাজি কারখানায়’ ভয়াবহ বিস্ফোরণ। নিহত অন্তত দশ। মৃতের সংখ্যা বাড়বে আরও রয়েছে আশঙ্কা। নিহতের তালিকায় মহিলারাও। আহত অন্তত ১৪। 

মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে খানিকটা দোষ দিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে আপত্তি নেই জানিয়েছেন। দায় মিটে গেল কী? এ রাজ্যে পরপর বিস্ফোরণ। খাদিকুলেও বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের নেতা। আপাতত পলাতক।

পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কারণ বাজি কারখানার আড়ালে বোমা কারখানা চললেও বন্ধ হয়নি, বন্দোবস্ত ছিল। জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাই।

এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “বাজি কারখানা ছিল বলেই খবর পেয়েছি। পুলিশ আগেই তল্লাশি করে বন্ধ করেছিল। তারপরও লুকিয়ে চলছিল। গোপনে হয়ত চলছিল।

তবে পূর্ব মেদিনীপুরে এটিই প্রথম ঘটনা নয়। রাজ্যে তো নয়ই। 

গত বছর একই ভাবে ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়বিলা গ্রামেও বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের। তার আগে খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেখানেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তে নেমে তৃণমূল নেতা সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও পাঁশকুড়ার তৃনমূল কর্মীর বাড়িতেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ভানু বাগ এলাকার পরিচিত তৃণমূল নেতা। কিভাবে বাড়িতে এমন বেআইনি কারখানা চলছিল পুলিশের নাকের ডগায়? এভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বোমা বন্দুকের কারখানা তৈরি হয়েছে। এই জেলায় একের পর এক খুন, বোমা বিস্ফোরণে মানুষ আতঙ্কিত। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত

সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন "পুলিশের সহযোগিতায় জেলায় এরকম একাধিক বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই সমস্ত বোমাগুলিকে ব্যবহার করার চক্রান্ত করেছিল তৃণমূল।"

কেউই ভুলে যাচ্ছেন না এ রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণের সময়রেখা। নিয়মিত এবং তৃণমূল যোগ অবধারিত। যেমন গত বছর ১৬ নভেম্বর মিনাখাঁর কেশপুরে মারা যায় এক শিশু। আহত হয় ২ শিশু। ১ নভেম্বর বীরভূমের পাইকর থানার পঞ্চহর গ্রামে শেখ ইসরাইল খানের বাড়িতে বিস্ফোরণ। বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন তাঁরই মেয়ে। বাবা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। 

তার আগে ২৮ অক্টোবর দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে নরেন্দ্রপুরের আটঘরায় জখম হয় ৫ নাবালক। নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২অঞ্চলের শান্তি পার্ক আটঘরা এলাকায় এই ঘটনা। 
২৫অক্টোবর জগদ্দলে রেললাইনে পড়ে থাকা বোমা ফেটে এক চটকল শ্রমিকের শিশু সন্তান নিখিল পাশোয়ানের মৃত্যু হয়। ১৫ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার অমরপুর গ্রামে তৃণমূলের দপ্তর থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়।

৮ জুলাই কাঁকিনাড়ায় তৃণমূলের কর্মী কালিমুদ্দিনের গুদামঘরে মজুত রাখা বোমা বিস্ফোরণে দুইজন গুরুতর আহত হন। 

Comments :0

Login to leave a comment