পুলিশ নিজে থেকে তদন্তে নামেনি। প্যাটিস বিক্রেতাকে দলবেঁধে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তিন জনকে। বৃহস্পতিবারই জামিন মিলে গিয়েছে অভিযুক্তদের।
গত রবিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে মারধর করা হয় প্যাটিস বিক্রেতা শেখ রিয়াজুলকে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় গত মঙ্গলবার ময়দান থানায় এফআইআর দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবারই প্যাটিস বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রিট হকার্স ফেডারেশন নেতৃত্বের। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছেন যে শেখ রিয়াজুলকে আরামবাগে তাঁর গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদিন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত এক হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন দেয় মারধরে অভিযুক্ত সৌমিক গোলদার, স্বর্ণেন্দু চক্রবর্তী এবং তরুণ ভট্টাচার্যকে। গীতাপাঠে ‘চিকেন প্যাটিস’ বিক্রির অভিযোগ তুলে দলবেঁধে মারধরে অভিযুক্তদের পাশে থেকেছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃবৃন্দ।
এদিনই তেহট্টের জনসভায় সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন সমস্যা নিরামিশ আমিশ নিয়ে নয়। আসলে বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে এই সব দেখিয়ে। অথচ মানুষের খাদ্যের দিকে নজর নেই।
গোটা ঘটনায় তৃণমূল সরকারের পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। দলবেঁধে মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি দেরিতে হওয়া, আর দিনের দিন জামিন পাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভাজনের বাহিনীকে ঠেকাতে কতটা আগ্রহী প্রশাসন।
Mob Lynching Gitapath Bail
দেরিতে গ্রেপ্তারের পর দ্রুত জামিনও, প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধর কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন
×
Comments :0