Bangla bachao jatra

উপড়ে ফেলতে হবে গুন্ডারাজের বিষ দাঁত : মীনাক্ষী

রাজ্য বাংলা বাঁচাও যাত্রা

'শ্রমিকরা উৎপাদন করে, সেটা বিক্রি করে মালিক টাকা পায়। এখন আর কারখানা নেই, চিমনির ধোঁয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাফিয়ারা দখল নিয়েছে কারখানার। নৈহাটি, কাঁচড়াপাড়ার একের পর কারখানা তৃণমূল বিজেপির গুণ্ডামির জন্য বন্ধ হয়েছে। আমাদের কারখানা যেমন বাঁচাতে হবে, তেমন এই তোলাবাজদের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।' বীজপুরে বলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। 
বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়। বাবার সাথে দলবদল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারপর আবার তৃণমূলে ফিরেছেন। কিন্তু বীজপুরের বন্ধ কলকারখানা গুলো খোলেনি। এলাকার ছেলে মেয়েদের কাজের জন্য বাইরে চলে যেতে হচ্ছে। অন্য রাজ্যে তারা চলে যাচ্ছে। বীজপুর হালিশহর কাঁচরাপাড়া নৈহাটি একাধিক কারখানা আজ বন্ধ, সেই বন্ধক কল কারখানা গেটের সামনে দিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। বিভিন্ন জায়গায় মীনাক্ষী মুখার্জী সহ এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের কে কারখানা গেট থেকে পাড়ার মোড়ে মোড়ে মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে। একটাই দাবি বাংলা বাঁচুক এবং বাংলার যুবসমাজ এক সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে বাঁচুক।
হালিশহরের আগে কাঁচরাপাড়াতে হয় সংক্ষিপ্ত সভা। মীনাক্ষী বলেন, 'কাঁচরাপাড়ার মানুষের রেলকে কেন্দ্র করে একাধিক দাবি আছে। কিন্তু মোদি, মমতা মানুষের সেই কথা শোনে না। পুলিশ নাকি সমস্যা তৈরি করছে। পুলিশকে বুঝতে হবে ওরা মানুষের কাজের জন্য কোন নেতা মন্ত্রীর দালালি করার জন্য না।'
তিনি বলেন, 'আমাদের বাংলাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাকে বাঁচাতে হবে। সেটা করতে পারে একমাত্র লাল ঝান্ডা। লুটেরাদের বিরুদ্ধে খেটে খাওয়া মানুষকে এক করতে হবে।'
কাঁচরাপাড়ার সমাবেশে ছিলেন, সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, সুমিত দে সহ নেতৃত্ব।

Comments :0

Login to leave a comment