Congress

সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠের ডাক প্রদেশ কংগ্রেসের

রাজ্য কলকাতা

ধর্মতলায় সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠের ডাক দিল প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ২০ ডিসেম্বর ধর্মতলায় শতকণ্ঠে সংবিধান পাঠের আয়োজন করছে তারা। কংগ্রেসের বক্তব্য সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেই এই সংবিধান পাঠের আয়োজন। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে করে এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। চলতি মাসে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচিও করবে তারা। 
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করে হয়েছিল গত রবিবার। লক্ষ কণ্ঠে কোরান পাঠের কথা ঘোষণা করেছে হুমায়ুন কবীর। ধর্মগ্রন্থ ঘিরে প্রতিযোগিতার রাজনীতিতে বিরুদ্ধে সংবিধান পাঠের ডাক দিল কংগ্রেস। ২০ ডিসেম্বর বেলা ১টায় কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের আয়োজনে ‘সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠ’ হবে।  শুভঙ্কর সরকার বৃহস্পতিবার দলের বলেন, ‘বি আর আম্বেদকর প্রণীত ভারতবর্ষের বিশ্ব শ্রেষ্ঠ সংবিধান আজ পদদলিত হচ্ছে খোদ রাষ্ট্রশক্তির মদতে।  মনুবাদ, বিভাজনের দর্শন, সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে যেসব মনীষীরা সরব হয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বাণী এবং মানবতার জয়গান গেয়েছেন, আর.এস.এস তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ করে , সেই সব মনীষীদের প্রতি নির্দিষ্ট এজেন্ডা অনুযায়ী অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা প্রদর্শন করে তাঁদের অপমান করে চলেছে। গীতা পাঠ এর বদলে চণ্ডীপাঠ , রাম মন্দিরের বদলে জগন্নাথ মন্দির আজকের সংকীর্ণ  রাজনীতির মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।
প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সুমন রায় চৌধুরী বলেন, " বিজেপি ও তৃণমূল একত্রে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চাষ করছে। ২০১১ সালের পর আরএসএসের শাখা প্রায় তিন গুন হয়েছে। সংঘের বিভেদের প্রচারে তৃণমূল সাহায্য করেছে। ফলে জমি পেয়েছে বিজেপি। হিন্দু মুসলমান, মন্দির-মসজিদ রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল না। আমরা মানুষের কাছে সাংবিধানিক অধিকার ও তার ধর্মনিরপেক্ষতা, সার্বভৌমত্বকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছি।"
তার কথায় এখন লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, কোরান পাঠ হচ্ছে। কিন্তু সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্টকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের এই শত কণ্ঠে সংবিধান পাঠের সিদ্ধান্ত।

Comments :0

Login to leave a comment