'২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে দুর্নীতি দুষ্কৃতি রাজ চলছে। মমতাকে লোকে ফেরেস্তা ভাবত। সেই ভাবনা লোকের ভেঙে গিয়েছে।
সংখ্যালঘু থেকে মতুয়া সবাইকে ঠকিয়েছে তৃণমূল। মহিলাদের কোন সম্মান নেই। প্রতিদিন তারা নির্যাতনের শিকার।' বনগাঁর কৃষক সমাবেশে বলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সমাবেশে সেলিম বলেন, আমরা বলেছিলাম মৃতদের নাম বাদ দিতে। ওরা সবার ফর্ম চাপিয়ে বিলি করলো কেন?
বনগাঁ পৌরসভা বাকি পৌরসভা গুলোর মতো ভোট লুঠ করে দখল করেছে তৃণমূল। দুর্নীতির অভিযোগ অনেক।
সেলিম বলেন, 'বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূল লুঠের রাজত্ব চালাচ্ছে। আমাদের লড়াই এই চোরদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল বিজেপির সেটিং আছে তাই একে একে সব জামিন পাচ্ছে।'
সেলিমের কথায়, আমরা বলছি মানুষকে সাথে নিয়ে আমাদের লড়াই করতে হবে। এই বাংলা অনেক অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছে। সেই লড়াই আবার করতে হবে। ওরা ধর্মের নামে ভাগ করছে। আমরা বলছি ধর্ম আগেও ছিল। কিন্তু ধর্মকে রাজনীতির মঞ্চে টেনে নামানো যাবে না।
বাংলার ঐক্য সম্প্রীতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
কাস্তে টাকে শান দিতে হবে তাতে ধানও বাঁচবে, মানও বাঁচবে।
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, 'এই বাংলা ক্ষুদিরাম, রাম মোহনের। বালু, অনুব্রতদের বাংলা নয়। আমাদের বাংলাকে বাঁচাতে হবে। বরুণ বিশ্বাসের স্বপ্ন পূরণ করতে বাঁচাতে হবে বাংলাকে।
আগে চোরেরা রাতে চুরি করতো এখন সব তৃণমূল করে। ভোট লুঠ যেমন করে তেমন চাল চুরিও করে।
বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য বনগাঁর ক্ষতি হচ্ছে।'
বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, 'রাজ্যে তৃণমূল যেমন স্কুল বন্ধ করছে, দেশেও বিজেপি স্কুল বন্ধ করছে।
বামপন্থীরা লড়াই করে ১০০ দিনের কাজ চালু করেছিল। আজ সেই ১০০ দিনের কাজ শেষ করে দিতে কাল বিল এনেছে কেন্দ্র।
ওরা মুখে দেশ ভক্তির কথা বলে আর সব কিছু আদানি আম্বানির হাতে তুলে দিচ্ছে।'
Comments :0