‘‘তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক পতনের আভাস দিচ্ছে এই ব্রিগেড। আসফাকুল্লা, ভগত সিংয়ের মাটিতে বিভাজনের রাজনীতি শেষ কথা হতে পারেনা। এই বাংলা লুটের বাংলা, ডাকিনির বাংলা। তাকে মানুষের বাংলায় পরিণত করার জন্য ইনসাফ সভা। চা বাগানের মা সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন না। খাঁচার মধ্যে বন্ধ রয়েছে তারা। উল্টোদিকে এই ভারতে কয়েকজন লক্ষ লক্ষ টাকার চা পান করেন। এই অসাম্য ভাঙতে ইনসাফ।’’
রবিবার ব্রিগেডের মাঠে সভাপতির ভাষণে সমাবেশকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এএ রহিম বলেছেন, ‘‘বাংলার কমরেডদের অভিনন্দন। আপনারা ইতিহাস তৈরি করেছেন। বেকার যুব'র ক্ষোভ, চাকরি না পাওয়া যুব সমাজের ক্ষোভ আজ এই মাঠে আছড়ে পড়েছে। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। আর মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে বাংলা দুর্নীতি আর স্বজনপোষনের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।’’
ধ্রুবজ্যোতি ইনসাফ যাত্রার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘রাত্রি ১১টা। ধর্ষিতা যুবতী হাউহাউ করে কেঁদে আমাদের কাছে এসে বলছেন, চা বাগানে তৃণমূল নেতারা আমায় দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। বিজেপি বিধায়ক সাহায্য করেনি। তিনি ইনসাফ চেয়ে আমাদের মিছিলে হেঁটেছেন। তার মুখের ওড়না তাঁর লজ্জা নয়। এটা গোটা বাংলার লজ্জা।’’
তিনি বলেন, ‘‘মালদার নিহত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী বলছেন, স্বামীর কফিনবন্দী শরীর ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে দেখি, চোখ দুটো চুরি হয়ে গিয়েছে। এরা পরিযায়ী শ্রমিককে রক্ষা করতে পারে না, মৃত্যুর পরে তাঁর শরীরের সম্মান রাখতে পারে না, এরা রাজ্য-দেশ সামলাবে?’’
জঙ্গলমহলের সিপিআইএম কর্মীর স্ত্রী স্বামীর কঙ্কালে ধাতব পাত দেখে তাকে চিহ্নিত করছেন। এটাই বাংলার বর্তমান অবস্থা। এটা বদলাতেই ইনসাফ যাত্রা, বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মিডিয়া বলছে ভাইপোর যাত্রা দেখে আমাদের ইনসাফ যাত্রা। ভাইপোর যাত্রায় চোর চোর বলে মানুষ জুতো ছোঁড়ে, আর ইনসাফ যাত্রায় মানুষ ফুল ছোঁড়ে। এটাই তফাত।’’
তিনি বলেন, ‘‘গোটা বাংলা তৈরি হচ্ছে। চড়াম চড়াম করে মানুষ ঢাক বাজাবেন, আর তৃণমূল পুলিশ সেই তালে তালে নাচবে। তৃণমূল আমলে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বাড়ে, নেতা মন্ত্রীদের বেতন বাড়ে। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষের আয় বাড়ে না। এই বাংলা বদলাতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বুথে বুথে প্রতিরোধের বাহিনী তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। লড়াই সবে শুরু হয়েছে। এই লড়াই চলবে।’’
Comments :0