অভাব প্রবল। সন্তানদের খাবার দেওয়ার সঙ্গতি ছিল না। অনটনের কারণে অশান্তিও ছিল। শুক্রবার সকালে মিলল সেই দম্পতির দেহ। মেখলিগঞ্জের রানিরহাটে মর্মান্তিক এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলছেন পরিজনরা।
বছর পঁয়ত্রিশের রাজকুমার হরিজন এবং তাঁর স্ত্রী ছাব্বিশ বছরের মঞ্জু হরিজনের দেহ মেলে শুক্রবার সকালে। ঘরেই পড়েছিল দু’জনের দেহ। রয়েছে তাঁদের দুই সন্তান।
রাজকুমার জুতো সেলাই, ছাতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। অভাব বেড়ে চলছিল। আয় তলানিতে, সন্তানদের খেতে দেওয়া কঠিন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত প্রায়ই। রাজকুমার নিজেই যক্ষ্মায় ভুগছিলেন।
রাজকুমারের মা শুকমণি হরিজন জানিয়েছেন, মাঝে মাঝেই রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসতেন মঞ্জু। আবার সন্তান, পরিবারের টেনে ফিরেও যেতেন। মঞ্জুর মা গন্ধেশ্বরী হরিজনও জানিয়েছেন অভাবের বৃত্তান্ত।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ কিছু জানায়নি। পুলিশ বলেছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
শুকমণি হরিজন জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে দু’জনেরই দেহ মেলে ঘরে। আত্মহত্যার অনুমান করছেন তিনি।
Comments :0