সকালে তাড়া কাজে যাওয়ার। বিকেলে কাজ থেকে বেরিয়েই ট্রেন ধরার তাড়া। তার মাঝে গৃহ সহায়িকাদের মধ্যে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার চালালো পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়ন।
সংগঠনের কলকাতা জেলা সম্পাদক পৃথা তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় গৃহ সহায়িকাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে লিফলেট। তাড়ার মাঝেও কথা বলছেন তাঁরা।
২০ এপ্রিল ব্রিগেডে সমাবেশ ডেকেছে সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গ বস্তি ফেডারেশন। ব্রিগেড সমাবেশের আহ্বানে জুড়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন অংশের বহু বামপন্থী সংগঠন।
বুধবার যাদবপুরে, কলকাতা কর্পোরেশনের ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে, কাঠগোলার গলিতে চলেছে প্রচার। যাবদপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই এলাকা আবার যাদবপুর স্টেশনেরও কাছে।
পৃথা বলেছেন, ‘‘এমন মধ্যবিত্ত এলাকায় দু’ধরনের কাজে যুক্ত রয়েছেন গৃহ সহায়িকারা। অনেক পরিবারে কেবল বৃদ্ধ এবং প্রবীণরা রয়েছেন। কমবয়সীরা কাজের জন্য বাইরে। এসব বাড়িতে সারাদিন দেখভালের দায়িত্ব নেন গৃহ সহায়িকারা। আবার বহু বাড়িতে দিনের কাজ করে ফিরে যান। দৈনিক যাতায়াত করতে হয় গৃহ সহায়িকাদের।’’
কোন কোন দাবি নিয়ে কথা হলো?
পৃথা জানিয়েছেন, ‘‘ঘন্টা প্রতি বেতন নির্দিষ্ট করা, সামাজিক সম্মান এবং সপ্তাহে ১ দিন ছুটির দাবিতে জোরালো সমর্থন রয়েছে বেশিরভাগ মহিলাদের।’’
সিআইটিইউ অনুমোদিন গৃহ সহায়িকা ইউনিয়নের দাবি জরুরি কোনও চিকিৎসা সঙ্কট হলেও ছুটি এবং আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকা উচিত। মধ্যবিত্ত বাড়িতে কর্মরতরা নিজেরাও কাজ করেন। ফলে তাঁদের বাড়িতে কর্মরতদের দেখা উচিত মর্যাদা নিয়ে।
পৃথা বলেছেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে অমানবিক আচরণ দেখা যায়। পুজোর আগে বোনাস না দিয়ে কাজ ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহান্তে না হোক, সপ্তাহের একটি দিন তো ছুটি প্রয়োজন। গৃহ সহায়তা করেন যে মহিলারা তাঁদেরও পরিবার আছে, নিজেদের কাজ আছে। সপ্তাহে একদিন সবেতন ছুটি দরকার। বিষয়টি বিবেচনা করা জরুরি।’’
পৃথা জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত এভাবেই হাতে হাতে লিফলেট বিলি করে চলছে প্রচার। এরপর হ্যান্ড মাইক নিয়ে দুপুরের দিকে মহল্লা ধরে ছোট ছোট সভা হবে। ওই সময়েই কিছুটা ফুরসত মেলে এই মহিলাদের।
Griha Sahayika Brigade
তাড়ার মাঝেও গৃহ সহায়িকারা নিচ্ছেন লিফলেট, শুনছেন ব্রিগেডের কথা

×
Comments :0