মূলধনী ব্যয় ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা করার লক্ষ্য রাখলেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট ভাষণে বললেন, মোট জাতীয় উৎপাদনের ৩.৪ শতাংশ হবে মূলধনী ব্যয়। বৃদ্ধির হার কেবল ১১ শতাংশ, মূল্যবৃদ্ধির হার ধরলে প্রকৃত বৃদ্ধি ৫-৬ শতাংশ।
মূলধনী ব্যয়ে বৃদ্ধি মুখ্যত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের নির্দেশক। গত বারও ১০ লক্ষ কোটি টাকা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয়ের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বাস্তবে কতটা খরচ হয়েছে জানাননি ভাষণে।
সীতারামনের ঘোষণা, শেষ দশ বছরে ৫৯৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ। ফিসক্যাল ঘাটতির হার জিডিপি’র ৫.৮ শতাংশ হবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে, অনুমান অর্থমন্ত্রীর। এই অর্থবর্ষ শেষ হবে এ বছরের মার্চে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কোষাগারীয় ঘাটতি মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি’র ৫.১ শতাংশে দাঁড়াবে বলে অনুমান অর্থমন্ত্রকের। বাজেটে বরাদ্দের ১৯ লক্ষ কোটি টাকার উৎস কী হবে ব্যাখ্যা নেই।
নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন সরকারের মোট ঋণ ১৪ লক্ষ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ করে বাবদ আয় ৩গুন হয়েছে দশ বছরে। নতুন আয়কর কাঠামো কর বহির্ভূত আয়ের সীমা ৭ লক্ষ টাকা, ঘোষণা করেছেন সীতারামন। নতুন কাঠামো বেছে নেওয়ার আগ্রহ যদিও করদাতাদের মধ্যে কম।
সীতারামন বলেছেন, পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের ঝক্কি কমিয়েছে। তাঁর দাবি, শিলমহলের এগিয়ে থাকা সংস্থাগুলির ৯৪ শতাংশই এই মত জানিয়েছেন।
রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে সীতারামনের ঘোষণা তিন ধরনের রেল করিডোর করা হচ্ছে। এক, জ্বালানি-খনিজ-সিমেন্ট পরিবহণে করিডোর। দুই, বন্দর সংযোগ করিডোর। তিন, যাত্রী পরিবহণে করিডোর। যাতে যাত্রী সুরক্ষা এবং গতি বাড়বে ট্রেনের।
রেলযাত্রীদের অভিজ্ঞতা যদিও শোচনীয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ট্রেনের সংখ্যা এবং দুর্ঘটনা- বারেবারেই সামনে এসেছে।
সীতারামনের ঘোষণা, ৪০ হাজার বগি বদলে ‘বন্দে ভারত’ মানের করা হবে।
budget 2024-25 CAPEX
পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধি নামমাত্র, কোষাগারীয় ঘাটতি ৫.৮ শতাংশ
×
Comments :0