সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় স্লোগান তোলার কড়া বিরোধিতা করলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। জ্যোতি বসুর কথা মনে করিয়ে তিনি বলেছেন, বিজেপি অসভ্য বর্বরের দল। চক্রবর্তী বলেছেন, তৃণমূলের ‘জয় বাংলা’ বিজেপি’র ‘জয় শ্রীরাম’ যেভাবে চলছে তাতে রাজনীতি কলুষিত হচ্ছে।
হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল শুক্রবার। মা মারা যাওয়ায় সফর বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়ালি উদ্বেধন করেছেন তিনি। ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও ছিলেন অনুষ্ঠানে। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকে ভিড়ের একটি অংশ। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উঠতে নারাজ ছিলেন। নিচেই চেয়ারে বসে থাকেন তিনি।
চক্রবর্তী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী উপস্থিতিতে যেভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলা হলো তা নিন্দনীয়। বোঝাই যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর এতে ইন্ধন ছিল। অবশ্যই নিন্দনীয়।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হলো তা অবশ্যই নিন্দনীয়। ওরা জয় শ্রীরাম, এরা জয় বাংলা- এর মধ্য দিয়ে রাজনীতি কলুষিত হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি বুঝছেন কিনা জানি না, উনি তো প্রধানমন্ত্রীর অনুগ্রহ নিতে ব্যস্ত। চক্রবর্তী বলেছেন, জ্যোতি বসু অনেকদিন আগে বলে গিয়েছিলেন, বিজেপি অসভ্য বর্বরের দল। ১৯৯২’তে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিক্রিয়ায় ওই মন্তব্য করেছিলেন জননেতা জ্যোতি বসু। চক্রবর্তী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমন স্লোগান তোলার অর্থ তাঁরও এ কাজে ইন্ধন আছে।
মা মারা যাওয়ায় এদিন বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা প্রধান ভার্চুয়ালি করেছেন।
এর আগে ত্রিপুরায় সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। জনজাতিদের সমর্থন চেয়ে তিনি সরাসরি বলেন যে গুজরাটে আদিবাসী সংরক্ষিত আসনের বেশিরভাগই জিতেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও পিছিয়ে নেই। প্রতিটি সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নাম করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করে আসছেন বহুদিন।
এদিন জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবারও উদ্বোধন হয়েছে।
Comments :0