Chanchal Nandi

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ, এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্য

Chanchal Nandi

রামশঙ্কর চক্রবর্তী

টেন্ডার কেলেঙ্কারি কান্ডে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ চঞ্চল নন্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত ফেব্রুয়ারি মার্চ নাগাদ। নন্দকুমার থানা সূত্রে খবর নন্দকুমার ব্লকের কোলসর এলাকার বাসিন্দা সুনীল মন্ডল নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সেচ বিভাগের সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অনীশ ঘোষের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ছিল হুমকি, তোলাবাজি এবং জোর করে জায়গা দখল করে অফিস নির্মাণের। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দকুমার থানা তদন্ত করে গত ২৫ মার্চ অনীশ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে চঞ্চল নন্দীর নাম জানা যায়।

চঞ্চল নন্দী শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। প্রায় ৬ কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারি রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে অনীশ ঘোষ। 
নন্দকুমার থানা সূত্রে জানা গেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চঞ্চল নন্দী কে নোটিশ করা হয়, কিন্তু সেই নোটিশের উত্তর না দিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ না করতে পারে এমন আবেদনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে চঞ্চল। সেই মামলাতে পুলিশের পক্ষেই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

সেচ বিভাগের একাধিক টেন্ডার এর বরাত মোটা টাকার বিনিময় ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল অনীশ ঘোষ এর বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে নাম জড়ায় চঞ্চল নন্দীরও। চঞ্চল নন্দী শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সূত্র অনুযায়ী খবর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন এই ব্যক্তি প্রাইমারি সহ সরকারি নিয়োগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার এজেন্ট হিসাবে কাজ করত।

নন্দকুমার থানার ওসি মনোজ কুমার ঝা বলেন "অনীশ ঘোষ ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চঞ্চল নন্দীর নাম জানা গেছে। এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে চঞ্চল নন্দীও জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। সেকারনেই নোটিশ করা হয়েছিল। নোটিশের উত্তর না দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ঐ ব্যক্তি। তবে কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশের পক্ষেই রায় দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ সেইসঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতা করলে গ্রেপ্তার করা যাবে।"

Comments :0

Login to leave a comment