শ্যামল কুমার মিত্র
যাদবপুরকে দখল করার জন্য বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা আধ ঘণ্টা, তৃণমূল নেতা মদন মিত্র ৩০ সেকেন্ড সময় চেয়েছেন। যাদবপুর কি গাছে ঝোলা কলার কাঁদি, যে স্বভাবজাত চরিত্র বৈশিষ্ট্যে বিজেপি, তৃণমূল নেতারা তার দখল নেবে? ষাটের দশকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা সাধারণ মানের বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। তখন যাদবপুরের গর্ব ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলি, আর ১৯০৫ সালে স্থাপিত জাতীয় শিক্ষাপর্ষদের সঙ্গে তার নাড়ির সংযোগ। কিন্তু অনেকটা পথ পেরিয়ে যাদবপুর আজ দেশের অন্যতম 'সেন্টার অব এক্সেলেন্স'৷ মঞ্জুরি কমিশনের 'বিশেষ সাহায্য প্রকল্প'-এ (SAP) গবেষণার স্বীকৃতি হিসাবে সব থেকে বেশি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের৷ বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর স্ট্যানফোর্ড তালিকায় যাদবপুরের অধ্যাপকদের সংখ্যা আইআইটিগুলির তুলনায় প্রায়শই বেশি থাকে। নানা ধরনের ডিজিটাল আর্কাইভ নির্মাণে ব্রিটিশ লাইব্রেরির 'এনডেঞ্জার্ড আর্কাইভ প্রোগ্রাম'-এ বিশ্বের ৫টি নোডাল সংস্থার ১টি যাদবপুরের এসসিটিআর৷ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, সমাজবিদ্যার মেলবন্ধনে যাদবপুরের এই প্রতিষ্ঠান গোটা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ডিজিটাল নথি তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রকাশনা ও স্বারস্বত চর্চায় যাদবপুর ইউনিভার্সিটি প্রেসের মতো সংস্থা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিরল। এমিরেটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরির তত্বাবধানে বাংলা ভাষার বিবর্তনমূলক অভিধান 'শব্দকল্প' তৈরির কাজ চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই কাজের দিকে তাকিয়ে আছেন গোটা বিশ্বের বাংলাভাষী এবং ভাষা গবেষকরা। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় গত ৫ বছর ধরে আছেন যাদবপুরের অধ্যাপক সন্দীপ শেঠ৷ মুরাকামি, সার্ত্র, দান্তে, মেকিয়াভেলি সহ দেশবিদেশের সাহিত্য মূলভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদের কাজটিও চলছে এই যাদবপুরেই। আইআইটি, আইআইএম, আইআইএসসি’র মতো প্রতিষ্ঠানের থেকে অনেক কম সরকারি অনুদান পেয়েও যাদবপুর উৎকর্ষ ও মানের নিরিখে বিশ্বে ভারতের গৌরব। পড়ুয়াদের উন্নতমানের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে যাদবপুরের কোনও বিকল্প নেই। বিশ্বের বহু দেশে এমন অসংখ্য পেশাজীবি, গবেষক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক মিলবে যারা যাদবপুরের প্রাক্তনী।
'যোগ্যতা'ই যাদবপুরের বিপদ। যে প্রতিষ্ঠানে 'মেধা’ অগ্রাধিকার পায়, সেই প্রতিষ্ঠানে মুক্ত চিন্তা, গণতান্ত্রিক ভাবনা, স্বৈরতন্ত্র বিরোধিতা, ধর্মের নামে পশ্চাৎপদতার বিরোধিতা, বিতর্ক, সমালোচনা থাকবেই। আর এখানেই ধর্মের নামে রাজনীতির কারবারিদের আপত্তি। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল দখলদারির রাজনীতিতে হালে পানি না পেয়ে, যাদবপুরকে ভাতে মারার কৌশল নিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে যাদবপুরে কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে চলেছে। ফলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও গবেষণার কাজ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত প্রকল্পগুলির কাজ ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেন্দ্র ১০০ কোটি টাকার 'রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্প' (RUSA) মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে কোভিড কালে শ'তিনেক গবেষক ও গবেষণা সহায়ক জীবিকা সঙ্কটে পড়েন। ২ বছর আগে 'ইনস্টিটউট অব এমিনেন্স' হিসাবে তালিকাভুক্ত হয় যাদবপুর। যাদবপুরের সামনে বড় অর্থাঙ্কে সরকারি অনুদান পাওয়ার সুযোগ আসে। কিন্তু এই প্রকল্পে রাজ্যের দেয় ২০০০ কোটি টাকা দিতে অস্বীকার করে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারও, রাজ্য হিসাব না দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে, কোনও বরাদ্দ দিতে অস্বীকার করে। ফলে বিপুল সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয় যাদবপুর।
পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন - ২০১১ এবং ২০১২ সালে যাদবপুর সহ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংখ্যা অনেক কমিয়ে সরকার মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকারের ব'কলমে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।
অতিক্রান্ত ১০ বছরে ১টিও নুতন 'সেন্টার অব এক্সেলেন্স' গড়ে তুলতে পারেনি মোদী সরকার। অথচ সারা দেশে আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চ প্রশংসিত 'সেন্টার অব এক্সেলেন্স'গুলির বরাদ্দ কমিয়ে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনৈতিক দখলদারির মৃগয়াক্ষেত্র বানিয়ে, সেগুলিকে ধ্বংস করার আত্মঘাতী খেলায় নেমেছেন। সংবিধানে শিক্ষা কেন্দ্রীয় তালিকায় ছিল। কেন্দ্র যাতে রাজ্যভিত্তিক ভাষা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, চাহিদাকে অস্বীকার করে শিক্ষায় একচেটিয়া দখলদারি করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে সংবিধানে ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে শিক্ষাকে কেন্দ্র-রাজ্য যুগ্ম তালিকায় আনা হয়। দুর্ভাগ্য এখনও যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উৎকর্ষতায় শীর্ষে, সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করতে একজোট হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল। এখন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির জন্য চালু হয়েছে কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট। এখানে প্রাধান্য পাচ্ছে হিন্দি। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সর্বভারতীয় নিট এবং রাজ্য ভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র ভর্তি হতো। ২০১৭ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে রাজ্য ভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিষিদ্ধ করে সরাসরি রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র ৷ এমসিকিউ ধাঁচের নিটে সিবিএসসি এবং আইসিএসসি বোর্ডের পড়ুয়ারা রাজ্য ভিত্তিক বোর্ডের পড়ুয়াদের তুলনায় অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। এখানেও হিন্দি প্রাধান্য পায়। নিট উত্তীর্ণদের মধ্যে ১০+২ পাঠক্রমে রাজ্য বোর্ডের পড়ুয়াদের সংখ্যা নিতান্তই নগন্য। এই তথ্যকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গ বাদে সমস্ত অহিন্দিভাষী রাজ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, পূর্বতন রাজ্যভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভর্তির ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রীয়করণের নীতিতে রাজ্যের পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে, অথচ তৃণমূল সরকার নির্বিকল্প সমাধিতে।
২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষায় জিডিপি’র অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে, কিন্তু বরাদ্দ ২.৭ শতাংশের উপরে উঠছে না। ২০২২-২৩ সালের থেকে ২০২৩-২৪ বছরে দেশের স্কুলগুলিতে ৩৭ লক্ষ শিশু কম ভর্তি হয়েছে। সারা দেশে গত শিক্ষাবর্ষে ১৩ হাজার স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুলে শিক্ষক মাত্র ১ জন৷ দেশের গ্রামীণ কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে শূন্য শিক্ষক পদ যথাক্রমে ১,৩৭,২৯৮ ও ৯,০০,৩১৬ এবং ১,০৭,৬৮৯ ৷ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি/ আইআইএম-গুলিতে শিক্ষকদের শূন্যপদ যথাক্রমে ১১,৪২৯ এবং ৬,৩৫৫ ৷ পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ৩,৯৮,১৫০টি পদ শূন্য। স্নাতক ও পরবর্তী স্তরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের অনুমোদিত পদের কমবেশি ৬০শতাংশ পদ শূন্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বয়ং এজি বলেছেন, রাজ্যের অনেক স্কুলে একজনও শিক্ষক নেই। পশ্চিমবঙ্গের ৬,৩৬৬টি স্কুলে ১ জন করে শিক্ষক আছেন। গত শিক্ষাবর্ষে এই রাজ্যের ৩,২৫৪টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। গত ১০ বছরে রাজ্যের ২২টি জেলায় ৭,০১৮টি স্কুল কমেছে। সম্প্রতি আরও ৮,০২৭টি স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলছুটদের সংখ্যা সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। মাধ্যমিক / উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আতঙ্কজনক হারে পরীক্ষার্থী কমছে। নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ৪ বছরের অনার্স (FYUP) ও সেমিস্টারের চাপে সারা দেশেই শিক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছে পড়ুয়ারা। ৮০-৯০ শতাংশ পাশ কোর্সের ছাত্র/ছাত্রী ফেল করছে। তারপর আর পড়তে আসছে না৷ কলেজগুলিতে সায়েন্সের পাশ কোর্স উঠে গেছে। অনার্সেও ছাত্র সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। শুধুমাত্র হিউম্যানিটিজের পাশ কোর্স নিয়ে কলেজগুলি চলছে। এ কেমন শিক্ষানীতি? ‘যত জানে,তত কম মানে’ — এই বিশ্বাস থেকে রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। রাজ্যের ১৩টি সরকারি গ্রন্থাগারে অনুমোদিত, কর্মরত এবং শূন্যপদ যথাক্রমে ১৬,২৭,০৯২৷ ২৪৮০টি সরকার পোষিত গ্রন্থাগারে অনুমোদিত, কর্মরত এবং শূন্যপদের সংখ্যা যথাক্রমে ৫,৫২০ ও ১,৩৪৩ এবং ৪১৭৭৷ স্রেফ কর্মীর অভাবে পাঠাগারগুলি বন্ধ। মহাকরণ সংস্কারের নামে সেক্রেটারিয়েট লাইব্রেরির অপ্রয়োজনীয় স্থানান্তরে কত বই, দুষ্প্রাপ্য নথি, বিরল সংগ্রহের শ্মশানযাত্রা হয়েছে তার হিসাব নেই। রাইটার্সে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের লাইব্রেরি ১০ বছর ধরে তালাবন্দি। এইপাঠাগারে মুঘল আমল থেকে ২০১১ পর্যন্ত অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য নথি, দলিল, মানচিত্র সব এখন ইঁদুরের পেটে।
সিলেবাস থেকে 'ডারউইন'কে বাদ দেয় যারা তারা শিক্ষার কিছু বোঝে? জেএনইউ, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মতো দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির রাজনৈতিক দখলদারিতে ব্যর্থ হয়ে এগুলিকে 'দেশদ্রোহী'দের আখড়া হিসাবে প্রচার করছে বিজেপি— এ এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা। যে দলের পূর্বসুরিরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে, ব্রিটিশদের পক্ষে ছিলেন, যারা ‘ব্রিটিশ সরকারের হয়ে কাজ করবে’ জাতীয় মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেতেন, সেই তারাই আজ 'দেশপ্রেম'-এর 'আগমার্কা ঠিকাদার' সেজেছেন। ছাত্র/ ছাত্রীরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব থেকে বড় স্টেক হোল্ডার। ছাত্ররা চায় প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল৷ অথচ হরিয়ানা, হিমাচল, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশে ১০ বছর, অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানায় ৪০ বছর, মহারাষ্ট্রে ২০ বছর, পশ্চিমবঙ্গে ৮ থেকে ১০ বছর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি।
এরাজ্যে ছাত্ররা 'নির্বাচন' চাইলে মন্ত্রী তাদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করেন৷ ছাত্র রাজনীতি থেকেই আমি ট্রেড ইউনিয়নে এসেছি। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ছাত্র আন্দোলন সব সময় নিয়ম মেনে হয় না। কম বয়সের, কম অভিজ্ঞতার কারণে ছাত্রদের আবেগ বাঁধ মানে না। কিন্তু রাষ্ট্রীয় এবং দলীয় পেশি প্রদর্শনে, দমন পীড়নে ছাত্রদের দমিয়ে রাখা যায় না। বড়দের একটু সংবেদনশীলতা, সংযম, মানবিকতা প্রদর্শনে এত আপত্তি কিসের? বিজেপি-তৃণমূল যত বেশি করে দখলদারি প্রদর্শন করবে, ততই ছাত্রদের আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা হারাবে, সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হবে৷ এই বাস্তব সত্যটা হজম করতে হবে বিজেপি-তৃণমূলকে যে ছাত্র/ছাত্রীরা মতাদর্শগতভাবেই তাদের পছন্দ করছেন না। যাদবপুরে ছাত্রপেষা শিক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রত্যাশিতভাবেই কোনও এফআইআর করেনি। কলকাতা হাইকোর্টের এক বিরাশি শিক্কার থাপ্পড়ে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় ব্রাত্য বসু, তার গাড়ির ড্রাইভার, দলবদলুশ্রী ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত এফআইআর করেছে, কিন্তু এখনও গ্রেপ্তার করেনি। গাড়ি চাপায় গুরুতর আহত ছাত্রটির মৃত্যুও হতে পারতো। রাজ্যে সত্যিই পুলিশ বলে কিছু আছে? পুলিশ দলবদলুশ্রীকে সুরক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে, অথচ ছাত্র/ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না।
Comments :0