স্ত্রী সহ গ্রেপ্তার হলেন দিল্লিতে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত আধিকারিক। সোমবার দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করে শিশু ও নারী কল্যান দপ্তরের আধিকারিক প্রেমোদয় খাকাকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বন্ধুর নাবালিকা মেয়েকে নভেম্বর ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন তিনি। ২০২০‘তে ওই নাবালিকার বাবার মৃত্যুর পরে তার বাড়িতেই থাকতো সেই বারো ক্লাসের ছাত্রী। সে সময় তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে যায় প্রেমোদয়। এমনকি সেই নাবালিকা অন্তসত্তা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাতের অষুধ দেন প্রেমোদয়ের স্ত্রী। স্বামীর অপরাধ গোপন করা এবং নাবালিকার বিরুদ্ধে অত্যাচারের পরেও চুপ থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী সীমা রানীকেও (৫০) গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। দুজনের বিরুদ্ধেই পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশের আধিকারিক সাগর সিং খালসি জানান প্রেমোদয় খাকা ওই নাবালিকার বাবার মৃত্যুর পর স্থানীয় অভিভাবক ছিলেন। বরত্মানে ওই নাবালিকা দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তার মানসিক চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা চলাকালীনই মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে এই কথা জানিয়েছে ওই নাবালিকা। তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায় গোটা ঘটনা। ৫১ বছরের খাকাকে তার পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চিফ স্বাতী মাল্লিওয়াল ঘটনাটির চরম নিন্দা করেছেন। খাকাকে ‘হিংস্র’ বলে উল্লেখ করেছেন।